ঢাকা: ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা গত চার দিনে পুলিশ সংঘবদ্ধ গাড়ি ছিনতাইকারী চক্রের সাত সদস্যকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে একজন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের চুরি এবং ছিনতাই প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিমের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মোখলেসুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীসহ সারাদেশে গাড়ি ও মোটরসাইকেল ছিনতাই করে আসছিলো। তারা ছিনতাই করা গাড়ি ও মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেট তুলে বিক্রি করে দেয়।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, গত ২৫ নভেম্বর রাজধানীর মিরপুরের জনৈক আক্তার হোসেনের ঢাকা মেট্রো গ-২৭-০০৮৮ নম্বরের প্রাইভেট গাড়িটি ধানমন্ডি এলাকা থেকে ছিনতাই হয়। এব্যাপারে তিনি ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এর পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের চুরি এবং ছিনতাই প্রতিরোধ ও উদ্ধার দল গত ১১ ডিসেম্বর সাভার, পাবনা জেলার ঈশ্বরদী এবং রাজধানীর পূর্ব নাখাল পাড়া থেকে সংঘবদ্ধ গাড়ি ছিনতাই চক্রের সদস্য যথাক্রমে শহিদুল ইসলাম ওরপে পাগলা শহিদ, নাজিম উদ্দিন এবং এম এ হাসানকে গ্রেপ্তার করে।
পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
আসামিদের মধ্যে এম এ হাসানের বিরুদ্ধে ঢাকা, পাবনা ও রাজশাহীর বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া তিনি হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
এদিকে ১৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরার আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে মোটরসাইকেল ছিনতাই চক্রের সদস্য এরশাদ, মেহেদী হাসান এবং কাজীম উদ্দিন রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গাজীপুরের কালিয়াকৈর এবং টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থেকে সাতটি ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের চুরি এবং ছিনতাই প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিম।
অপরদিকে গত ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ-১৪-১৭৩৩) ছিনতাইকালে পুলিশ গাড়ি ছিনতাই চক্রের দলনেতা মোজাফফর হোসেনকে (৩৮) গ্রেপ্তার করে। এসময় তার কাছ থেকে ৬ রাউন্ড গুলিভর্তি একটি বিদেশি রিভলবার উদ্ধার করে পুলিশ। এব্যাপারে রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ছিনতাই আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭,২০১০