ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

তালিকা: দিনাজপুরে ৪৯৫ যুদ্ধাপরাধী

৪ উপজেলায় একজনও নেই!

সানি সরকার, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১০
৪ উপজেলায় একজনও নেই!

দিনাজপুর: দিনাজপুরে ৪৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর তালিকা প্রস্তুত করেছেন ছয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তালিকায় জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে চার উপজেলায় কোনো যুদ্ধাপরাধীর নেই বলে দেখানো হয়েছে।

  ৩টির কাজ এখনো চলছে।

দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে ছয়টি উপজেলায় ৪৯৫ জন রাজাকার-আলবদর, আলসামস ও যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রস্তুত করে প্রতিবেদন দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এসব উপজেলার মধ্যে বীরগঞ্জে ৭৩ জন, বিরামপুরে ২ জন, চিরিরবন্দরে ১৪২ জন, খানসামায় ৮৬ জন, পার্বর্তীপুরে ১৬০ জন ও ফুলবাড়ীতে ৩২ জন যুদ্ধাপরাধী রাজাকার আলবদর আলসামসের তালিকা করা হয়েছে।

বাকী সাত উপজেলার মধ্যে চারটি উপজেলা হাকিমপুর, নবাবগঞ্জ, কাহারোল ও ঘোড়াঘাট উপজেলায় কোনো যুদ্ধাপরাধী নেই বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
 
এছাড়া সদর, সেতাবগঞ্জ ও বিরলে যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।
 
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চারটি উপজেলায় কোনো যুদ্ধাপরাধী নেই বলে যে প্রতিবেদন দিয়েছেন তাকে ভুল বলে দাবি করেছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল। এ ব্যাপারে তারা বিস্ময় প্রকাশ করেছে।

এ ব্যাপারে দিনাজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন বাবলু বাংলানিউজকে জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ওই চার উপজেলায় রাজাকার, আলবদর ও আলসামসরা এসব এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীকে সহায়তা করে ব্যাপক তি করেছিল। এসব এলাকার গণকবর এবং বধ্যভূমিগুলো তারই প্রমাণ বহন করে।
 
এসব এলাকায় যুদ্ধাপরাধী নেই বলে উল্লেখ করে দেওয়া প্রতিবেদনকে রহস্যজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতামত নিয়ে নির্ভুল তালিকা প্রস্তুত করা সম্ভব। ’
 
এব্যাপারে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি উলফাতুল রহমান কাজল বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিগত চার দলীয় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় এসব দপ্তরে রতি যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার আলবদর আলসামসদের তালিকা নষ্ট করা হয়েছে। ’

গত ১২ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত পত্রের আলোকে দিনাজপুর জেলার যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার আলবদর, আলসামসদের তালিকা প্রস্তুত ও শনাক্ত করতে গত ২২ জুলাই জেলা প্রশাসককে সভাপতি করে ১৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি জেলার ১৩টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে রাজাকার-আলবদর-আলসামস ও যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রস্তুতে তার কার্যালয়ে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।

গঠিত কমিটি স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত দালাল আইনে আটক হয়ে যেসব রাজাকার আলবদর আলসামসদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল এবং ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে আটক ছিলেন তাদের তালিকা প্রস্তুতির জন্য অনুসন্ধান চালায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।