ঢাকা: তেজষ্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহারের মাধ্যমে ক্যান্সার রোগ নির্ণয়ের জন্য পজিট্্রন ইমোশন টোমোগ্রাফি (পেট) সেন্টার খুব শিগগিরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা হচ্ছে।
এটি স্থাপন করতে পারলে ক্যান্সার রোগীদের জন্য নতুন আশা তৈরি হবে।
শুক্রবার রাজধানীর রেডিসন হোটেলে নিউকিয়ার মেডিসিনের এশিয়ান আঞ্চলিক সহযোগিতা কাউন্সিলের (এআরসিসিএনএম) নবম বার্ষিক সাধারণ সভা এবং ১৬তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে যে ১৩টি নিউকিয়ার মেডিসিন সেন্টার রয়েছে সেগুলোর মানোন্নয়ের চিন্তাভাবনাও করছে সরকার।
সোসাইটি অব নিউকিয়ার মেডিসিন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক এম এফ ফজলুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এআরসিসিএনএনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুন কে চুং ও ভাইসচেয়ারম্যান অধ্যাপক এমএ করিম।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘লক্ষণ দেখে রোগ নির্ণয় (ডায়াগনস্টিক) এবং তার চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিউকিয়ার মেডিসিন এবং নিউকিয়ার প্রযুক্তির মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন দেশের নিউকিয়ার মেডিসিন বিভাগের উন্নয়নে বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের অনেক মানুষ ডায়াগনস্টিক এবং থেরাপিউটিক সেবা পাবেন।
দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন শনিবার পর্যন্ত চলবে। সম্মেলনে ৫০ জন বিদেশি নিউকিয়ার বিশেষজ্ঞসহ দুই শতাধিক নিউকিয়ার বিশেষজ্ঞ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। তারা নিউকিয়ার মেডিসিনের ওপর তাদের গবেষণা উপস্থাপন
করবেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিউকিয়ার মেডিসিনের উন্নয়নে অবদানের জন্য ২০১০ সালের আজীবন সম্মাননা পদক দেওয়া হয় মো. রোকন উদ্দিনকে। তরুণ বিজ্ঞানী পদক-২০০৯ পেয়েছেন ড. শংকর কুমার বিশ্বাস এবং ২০১০ সালের তরুণ বিজ্ঞানী পদক পান ড. নাসিমা।
বাংলাদেশ সোসাইটি নিউকিয়ার মেডিসিন এই সম্মেলনের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব ড. রায়হান হুসাইন।
স্থানীয় সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১০