ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত সাতদিন ব্যাপী বিজয় উৎসব শেষ হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। গত ১০ ডিসেম্বর সেগুনবাগিচাস্থ জাদুঘর মিলনায়তনে এ উৎসব শুরু হয়।
সকালে শুরু হওয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে অংশ নেন রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। এ সময় তাদের সবার পোষাকে লাল আর সবুজ রংয়ের সমন্বয় দেখা যায়।
অনুষ্ঠানে বিজয়ের গানের সঙ্গে শিশু কিশোররা নৃত্য পরিবেশন করে। ‘জয় বাংলা বাংলার জয়, এক সাগরের রক্তের বিনিময়ে, মাগো ভাবনা কেনো, ও আমার দেশের মাটি...’-গানগুলোর সঙ্গে পরিবেশিত নৃত্য উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে।
সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনায় অংশ নেয় ইউসেপ স্কুল, ক্যালিক্স প্রি-ক্যাডেট স্কুল, মুক্তকণ্ঠ আবৃত্তি একাডেমি, সুরের ধারা ও ধ্রুপদ কলাকেন্দ্র (নৃত্য)।
সন্ধ্যা ছয়টায় অনুষ্ঠিত হবে কিস্সা গানের আসর। এ পর্বে ‘কাঞ্চনমালা’ পরিবেশন করবেন কিশোরগঞ্জের খোকন বয়াতী ও তার দল।
রাজধানীর মিরপুরস্থ জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠেও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজন করেছিল তিনদিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতেও রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল অংশ নেয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও বিজয়দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর গ্যালারিতে শুরু হয়েছিল সাতদিনব্যাপী বিশিষ্ট শিল্পীদের অঙ্কিত চিত্র-প্রদর্শনী। জাদুঘর নির্মাণ তহবিল গঠনে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যা সাতটায় এ প্রদর্শনী শেষ হবে। এছাড়া ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে চলছে বিশেষ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।
উৎসব আয়োজন সর্ম্পকে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অনুষ্ঠান সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের কাছে যুদ্ধের ইতিহাস সর্ম্পকে সঠিকভাবে তুলে ধরতেই আমাদের এই আয়োজন। আগামীতে এ ধরনের আয়োজন আরো বড় পরিসরে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়:১৫৫০, ডিসেম্বর ১৬, ২০১০