ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধী সাকাচৌ বিজয়ের দিনেই গ্রেপ্তার

রিয়াজ রায়হান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১০
যুদ্ধাপরাধী সাকাচৌ বিজয়ের দিনেই গ্রেপ্তার

ঢাকা: কারো ভাষায় ‘নিয়তি’ কেউবা বলবে ‘কাকতালীয়’। সে যা-ই হোক, বিজয় দিবসেই গ্রেপ্তার হলেন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতকিারী এবং অসংখ্য মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।



আইনশৃংখলা বাহিনী অবশ্য বলছে, অন্য একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তরফ থেকে তাকে গ্রেফতারের আবেদন জানানোর পরপরই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতার এই গ্রেফতার সবিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তার গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া আরেক ধাপ এগিয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এরই মধ্যেই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে বলে জানিয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের তদন্ত দল।

এ বছরের সেপ্টেম্বরে অপরাধ তদন্ত দল সাকা চৌধুরীর যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করতে তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজানে যায়।

এ সময় এলাকাবাসী মুক্তিযুদ্ধের সময় তার অপরাধের বিবরণ দেয়। এলাকাবাসী জানায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় রাউজানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ‘যম’ ছিলেন সাকা চৌধুরী।

তার বিরুদ্ধে আনীত উল্লেখযোগ্য অপরাধের একটি হচ্ছে ১৯৭১ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে রাউজানের গহিরা ও পাহাড়তলীতে মুক্তিযোদ্ধা ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে হত্যা।

গহিরা এলাকায় স্থাপিত শ্রী কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের মালিক অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র সিংহসহ এলাকার কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়। পরে পাহাড়তলী এলাকায় একসঙ্গে ৬৯জনকে হত্যা করা হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই এলাকার নাম পরবর্তীতে ‘উনসত্তর পাড়া’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সাকা চৌধুরীর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে অপরাধ ট্রাইবুন্যালের তদন্ত দল।

সাকা চৌধুরীর মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্ত দল চট্টগ্রামে থাকাকালে তিনি এ তদন্ত দলকে ‘সার্কাস পার্টির’ সঙ্গে তুলনা করে বিদ্রুপ করেন।

অথচ ভাগ্যর পরিহাস হচ্ছে, সেই তদন্ত দলের আবেদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার হলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময় ১৩৪০ ঘন্টা, ১৬ ডিসেম্বর ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।