ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এক মামলাতেই গ্রেপ্তার বিএনপি-জামায়াতের সাত নেতা

সাঈদুর রহমান রিমন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১০
এক মামলাতেই গ্রেপ্তার বিএনপি-জামায়াতের সাত নেতা

ঢাকা: রাজধানীর মগবাজার রেলগেট সংলগ্ন রাস্তায় গাড়িতে আগুন দিয়ে ফারুক নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত বিএনপি ও জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের সাত নেতাকে গ্রেপ্তার করা হলো।

সর্বশেষ ১৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে তিনটায় বনানীর ২৫ নম্বর রোডের ৭ নম্বর বাসা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে আটক করে র‌্যাব।

১৬ ডিসেম্বর সকালে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে ফারুক হত্যা মামলাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, জামায়াতের মহানগর আমীর রফিকুল ইসলাম, বিএনপির শমসের মোবিন চৌধুরী এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। সদ্য গ্রেপ্তারকৃত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করে আদালতে পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

মামলার এজাহার ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৭ জুন বিএনপি আহুত হরতালের আগের দিন (২৬ জুন) সন্ধ্যায় মগবাজার রেলগেট সংলগ্ন রাস্তায় একটি প্রাইভেটকারে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় আগুনে মারাত্মকভাবে দগ্ধ ফারুক আহমেদ (২৬) নামে এক যুবক নিহত হন এবং অপর একজন গুরুতর আহত হন। ওই ঘটনায় ২৬ জুন রাতেই রমনা থানা পুলিশ বাদী হয়ে গাড়ি ভাংচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া সংক্রান্ত একটি মামলা (মামলা নম্বর ৫৫) দায়ের করেন। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক মারা গেলে মামলাটি ‘ফারুক হত্যা মামলা’ হিসেবে রূপান্তরিত হয়।

মামলায় হরতাল সমর্থক অজ্ঞাত সংখ্যক ব্যক্তিকে আসামি করে বলা হয়, বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে গাড়ি ভাংচুর, আগুন ধরিয়ে দেওয়াসহ নাশকতা সৃষ্টির মাধ্যমে জনমনে আতংক তৈরি করা হয়।

মামলাটি প্রথমদিকে রমনা থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে মামলার তদন্তভার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ফজলুর রহমান ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এ মামলায় জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ৪ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

পরবর্তীতে ২৬ আগস্ট এ মামলাতেই গ্রেপ্তার করা হয় জামায়াতের মহানগর আমীর রফিকুল ইসলামকে। তাকেও তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি। এছাড়া ফারুক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময় : ১২০১ ঘন্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।