ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত বিজয়ের বর্ণিল কুচকাওয়াজ

মোস্তাফিজার রহমান প্রিন্স, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১০

ঢাকা: রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানকে সালাম প্রদানের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শুরু হয় বাঙালির গর্ব মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘বিজয় দিবস কুচকাওয়াজ ২০১০’।

জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে এ সময় ভিআইপি মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাড. সাহারা খাতুনসহ মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ এ অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। মহাজোটের অন্যতম শরীক দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ  এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর অংশগ্রহণে এ মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ১০টা ১০মিনিটে কুচকাওয়াজ অধিনায়কের সঙ্গে খোলা জীপে করে আট মিনিট ধরে প্যারেড পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি।

১০টা ২০মিনিটে কুচকাওয়াজ অধিনায়ক রাষ্ট্রপতি কাছে থেকে অনুমতি নিয়ে প্যারেড শেষ করেন।

এরপর বাংলাদেশের পতাকার লাল ও সবুজ রং ছড়িয়ে প্যারেড মাঠের উপর দিয়ে উড়ে যায় বিমান বাহিনীর তিনটি বিমান।

সাড়ে দশটায় একে একে সম্মিলিত পতাকাবাহী দল, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বিএনসিসি, বাংলাদেশ রাইফেলস, কোস্ট গার্ড, পুলিশ, আনসার, মহিলা পুলিশ ও মহিলা ব্যাটালিয়ন আনসার, বাংলাদেশ পুলিশ ও বাংলাদেশ অশ্বারোহী দল রাষ্ট্রপতিকে সালাম প্রদান করেন।

এরপর প্যারা কমান্ড ব্যাটালিয়নের ১৫ সদস্যের একটি দল পূর্বাকাশ থেকে ময়দানের মাঝখানে অবতরণ করা শুরু করে।

এসময় তারা একে একে বাংলাদেশ, রাষ্ট্রপতি, সশস্ত্র বাহিনী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, আনসার, কোস্টগার্ড, বাংলাদেশ রাইফেলস, পুলিশ, বিএনসিসি, ৯ পদাতিক বাহিনী ডিভিশন, ১ নং প্যারা কমান্ড ব্যাটালিয়নসহ ১৫টি পৃথক পৃথক পতাকা নিয়ে মাঠে অবতরণ করে।

এই যে প্যারা কমান্ড বাহিনী এর ডাক নাম হচ্ছে চিতা। ঝড়, বৃষ্টি. বন্যার মত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এ বাহিনী কাজ করে থাকে। এ বাহিনী জল, স্থল ও আকাশ পথে শত্রু এলাকায় গোপনে ঢুকে পড়ার কাজ করে। দুর্গম এলাকায় সন্ত্রাস দমনসহ দুঃসাহসিক অভিযান চালায় এ চিতা বাহিনী।

সকাল ১১টায় বাংলাদেশে তৈরি বিডি ০৮ রাইফেল, খাদ্য, গোলাবারুদসহ ৪০ কেজি ওজনের মোট ২৯ সামগ্রী নিয়ে রণসাজে সজ্জিত হয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল রাষ্ট্রপতিকে সালাম দেন।

এরপর মিলিটারি ফায়ার সার্ভিস, মিলিটারি পুলিশ, সেনা ও নৌবাহিনীর যান্ত্রিক ও সাজোয়া বহর সালাম প্রদান করেন।

মুক্তিযুদ্ধ, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, স্থানীয় সরকার, যোগাযোগ, তথ্য, বাণিজ্য, মহিলা ও শিশু,  নৌপরিবহনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রদর্শনী চলে।

বেলা পৌনে বারোটায় আকাশে লাল-নীল ধোয়া ছেড়ে শুরু হয় বিমান বাহিনীর অ্যারোনেটিকস শো এর বর্ণিল প্রদর্শনী।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে বেলা সোয়া বারোটায় রাষ্ট্রপতি প্যারেড প্রাঙ্গন ছেড়ে যান।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।