ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৩৪০ দরিদ্র নারীর মাঝে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের আরও ২৩ লাখ টাকা সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ

সালাম ফারুক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১০
৩৪০ দরিদ্র নারীর মাঝে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের আরও ২৩ লাখ টাকা সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে: বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের পল্লী ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে হতদরিদ্র ৩৪০টি পরিবারের নারীদের মাঝে সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার সকালে উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামে বসুন্ধরা গ্রপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পৈতৃক বাড়িতে এ ঋণ বিতরণ করা হয়।



বসুন্ধরা গ্রপের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) ও বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক ময়নাল হোসেন চৌধুরী নারীদের হাতে ঋণের অর্থ তুলে দেন।

এদিন মোট ২৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে আগে ঋণ নিয়ে পূর্ণ পরিশোধ করা ২৪০ জনকে সাড়ে সাত হাজার এবং নতুন ১০০ জনকে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাহাড়িয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল গনি তালকুদার, বিশিষ্ট সমাজসেবক হযরত আলী, বসুন্ধরা গ্রুপের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মাইমুন কবির প্রমুখ।

ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে ময়নাল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ফাউন্ডেশনের এ কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এ এলাকার নারীরা নিজেদের স্বাবলম্বী করে গড়ের তোলার সুযোগ পাচ্ছেন। বিভিন্ন ব্যবসার মাধ্যমে নিজেদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হচ্ছে। ঋণ সুদমুক্ত হওয়ায় তা পরিশোধ করতে গিয়ে  কাউকেই বেগ পেতে হচ্ছে না। ’

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বিতরণকৃত অর্থ আদায়ের হার শতভাগ। এটি একটি বিস্ময়কর ব্যাপার। ’

ময়নাল চৌধুরী আরও বলেন, ‘এ ঋণ শুধু নারীদের দেওয়া হলেও অসদুপায় অবলম্বন না করার শর্তে তাদের স্বামীদেরও ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। ’

উল্লেখ্য, এটি এ প্রকল্পের ২১তম ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠান। এর আগে ২০ বারে দুই হাজার ৮০৭ জন উপকারভোগীর মধ্যে মোট এক কোটি ৫৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে দুই হাজার ১৯৭ জন উপকারভোগী কোনও ব্যতিক্রম ছাড়াই এক কোটি ২২ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করেছেন।

বুধবারের ঋণ বিতরণের ফলে এখন ৯৫০ জনের কাছে থাকা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

২০০৫ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের কার্যক্রম এখন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের ৪৮টি গ্রামে চালাচ্ছে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন। এ কথা জানিয়ে ময়নাল হোসেন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে উপজেলার সবক’টি (১৩টি) ইউনিয়নের ১১৮টি গ্রামে, এমনকি সরকারের অনুমতি নিয়ে সারাদেশে এ কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ’

তিনি আরও জানান, ৩৩টি স্কিমের আওতায় বিতরণকৃত এ  ঋণের বিনিময়ে দরিদ্রদের কাছ থেকে আমানত হিসেবে কোনও অর্থ নেওয়া হয় না। ঋণ বিতরণের তিন মাস পর থেকে ৫০ সপ্তাহের কিস্তিতে এসব অর্থ আদায় করা হয়।

ময়নাল হোসেন চৌধুরী জানান, ফাউন্ডেশনের এ ঋণ প্রকল্পের প্রকৃত মূলধন ২৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এখন এক কোটি ৪৪ লাখ ৬২ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।