মাদারীপুর: মাদারীপুরের কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের একাদশ বর্ষের ছাত্রী চৈতী আক্তার (১৭)-এর আত্মহননের ঘটনায় কালকিনি থানায় বুধবার সকালে ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
একটি মামলা পুলিশ বাদী হয়ে আত্মহত্যার মামলা ও চৈতীর বাবা শাহাদত হোসেন শিকদার বখাটে সাগরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে অপর মামলাটি দায়ের করেন।
এ বিষয়ে কালকিনি থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, ‘সাগরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ সাগরকে খুঁজছে। তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। ’
এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ‘তিনি চৈতীদের বাড়িতে পরিদর্শনে গিয়েছেন। পরিবারের যে অপূরণীয় তি হয়েছে, তা পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে, অপরাধীকে কোনোক্রমেই ছাড় দেওয়া হবে না। ’
চৈতীর আত্মহত্যার পর থেকে সাগর পলাতক রয়েছে। তার মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মা-বাবা ও তার ভাই-বোন শোকে পাথর হয়ে গেছেন। কান্নার রোল থামেনি ঘটনার ৩ দিন পরেও।
এদিকে, কলেজ ক্যাম্পাসে চৈতীর সহপাঠী পারুল, লিপি ও জুঁইসহ কয়েক জন সহপাঠী স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা বাংলানিউজকে জানান, চৈতী ও চাঁদনী যমজ দু’বোন। একই কলেজে একই কাসে তাদের সঙ্গে পড়ালেখা করতো। দুবোন ছিল বান্ধবীর মতো। দুবোনই ছিল মেধাবী এবং পরীায় প্রায় একই নম্বর পেতো। ’ তারা সাগরের ফাঁসি দাবি করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১০