ঢাকা: সাভারের হা-মীম গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়া বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটায় শেষ হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থাকা শেষ চারটি লাশের পরিচয় শনাক্ত করে তা স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামাল আহমেদ নিহতদের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে লাশ দাফনের জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে বুধবার দুপুর পর্যন্ত আরও ছয়টি লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এরা হচ্ছেন ময়মনসিংহের নান্দাইল শেরপর লঙ্গারপাড়ার আবুল হাশেমের ছেলে মো. টুটুল ওরফে বাবলু (১৫, দিনাজপুর সদরের পাড়বাটপুরের মৃত আফাজউদ্দিনের ছেলে মো. মোজাম্মেল (৪৮), ফরিদপুর সারথার রামকান্দাপুরের মৃত পাচু চৌধুরীর ছেলে মো. দেলওয়ার, বাগেরহাট মোড়গঞ্জের পূর্ব চণ্ডিপুরের সুলতান খানের ছেলে মো. মাসুম খান (২৮), সিরাজগঞ্জের কাজিরপুর পাদুরাপুরের মোসলেমউদ্দিনের ছেলে মো. সেলিম রেজা (২৪) এবং গাইবান্ধা সাদুল্যাপুরের দক্ষিণ হাটের খোকা মণ্ডলের ছেলে রেজাউল মণ্ডল (২৪)।
এর আগে গত মধ্যরাত থেকেই কফিনবন্দি লাশ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া শুরু হয়।
রাত পৌনে ২টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামাল আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ পর্যন্ত ১০টি মৃতদেহ আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ’
মৃতদেহ বুঝে নেওয়ার জন্য লোকজন মর্গের সামনে ভিড় করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরই মৃতদেহ হস্তান্তর করা হবে। ’
মঙ্গলবার মধ্যরাতে হস্তান্তর করা লাশগুলো হচ্ছে, আশুলিয়া নরসিংহপুরের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে রাসেল (২৫), ফরিদপুর মধুখালীর নূরুল ইসলামের স্ত্রী মানছুরা বেগম (৩০), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সফর আলী মেয়ে হালিমা বেগম (২৫), বরগুনা সদরের আবুল বাশারের স্ত্রী তানিয়া সুলতানা (১৮), শরীয়তপুর জাজিরার বাদল মিয়ার স্ত্রী অঞ্জনা বেগম (২৫), আশুলিয়া নরসিংহপুরের হিমেল (২৬), রুনা (২৩), ফরিদপুর মধুখালীর নূরুল ইসলাম মিয়ার ছেলে মারুফ (২২), বগুড়া সদরের রুহুল আমিন (২৭) এবং দিনাজপুর সদরের রহিমুদ্দির ছেলে ফরিদুল ইসলামের (৩২)।
গতকাল দুপুরের খাবারের সময় আশুলিয়ায় হা-মীম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২১টি মৃতদেহ ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১০