ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

শ্রেণীকক্ষে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর সরবরাহের উদ্যোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১০
শ্রেণীকক্ষে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর সরবরাহের উদ্যোগ

ঢাকা: মাধ্যমিক স্তরে শ্রেণীকক্ষে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহজসাধ্য উদ্যোগের (কুইক উইন) আওতায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।



এ প্রকল্পের আওতায় মাধ্যমিক স্তরের (সাধারণ ও মাদ্রাসা) প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি করে ল্যাপটপ ও একটি করে প্রজেক্টর ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে।

মাধ্যমিক স্তরে শেখানোর পদ্ধতির মানোন্নয়ন ও আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে শ্রেণীকক্ষে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছে টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন প্রজেক্ট। আর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর নিয়েছে সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব।

প্রকল্পের শুরুতে সারাদেশের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ (টিটিসি), উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষক ইনস্টিটিউট ও মাদ্রাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সব প্রশিক্ষককে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে।

এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার বিকালে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্প এবং ইউএনডিপির সহায়তাপুষ্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রামের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে অনুষ্ঠিত এ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে একসেস টু ইনফরফেশন প্রোগ্রামের পক্ষে মো. নজরুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নোমান-উর-রশিদ ও টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম।

একসেস টু ইনফরফেশন প্রোগ্রামের পক্ষে মো. নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এর আগে বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু এতে সব শ্রেণীর চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না। এছাড়া অনেক জায়গায় বিদ্যুতেরও সমস্যা রয়েছে। ’

এছাড়া পাঠদানের জন্য সব বিষয়ে প্রযুক্তিভিত্তিক হ্যান্ডআউট তৈরি করা হবে বলেও জানান তিনি।

টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম জানান, এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে দুই বছরের মধ্যে প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা-উপকরণ তৈরি করার প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও তাদের দেওয়া হবে। ’

তিনি আরও জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আনুমানিক ৩৪০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।