ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কৃত্রিম কিডনির আবিষ্কারক ড.শুভ রায় বললেন, ‘আমি বাংলাদেশের সন্তান’

তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো চিফ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১০
কৃত্রিম কিডনির আবিষ্কারক ড.শুভ রায় বললেন, ‘আমি বাংলাদেশের সন্তান’

চট্টগ্রাম: প্রথমবারের মতো কৃত্রিম কিডনি তৈরি করে বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছেন বাংলাদেশের ছেলে ড. শুভ রায়। যদিও শুভকে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে ভারতীয় বলে দাবি করা হচ্ছে।



চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির রোসাংগিরি গ্রামের ছেলে শুভ রায় এর প্রতিবাদ করে বলেছেন, ‘আমি বাংলাদেশের সন্তান। বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে এসেছি। ’

তাই শুভ বুঝতেই পারছেন না কেন তাকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বলে প্রচার করা হচ্ছে।
 
আত্মীয়ের বাড়ি বেড়ানো উপলক্ষে শুভ এখন ভারতের কলকাতায় আছেন। সেখানেই শনিবার সন্ধ্যায় তিনি বাংলাদেশি সাংবাদিকদের এসব জানান।

শুভ রায় তার আবিষ্কার সম্পর্কে জানান, দশ বছর আগে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ জন সহকর্মীকে নিয়ে এ কৃত্রিম কিডনি তৈরির প্রকল্প শুরু করেন।

ইঁদুর ও শুয়োরের দেহে সফলভাবে এসব কিডনি সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সেইসঙ্গে তিনি আশা করছেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এ কৃত্রিম কিডনি মানব দেহে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হবে।

কলকাতা থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় ফিরে যাবেন জানিয়ে শুভ রায় বলেন, ‘শিগগিরই দেশে আসব। ’
শুভর সঙ্গে তার মা বাবাও বর্তমানে কলকাতায় গেছেন।
১৯৬৯ সালের ১০ নভেম্বর শুভ রায় চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তার বাবার নাম ডা. অশোক নাথ রায়। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর মাউন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।

মা রত্না রায় একজন সুগৃহিনী। দাদু নগেন্দ্র ছিলেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার কানুনগোপাড়া কলেজের ইংরেজির অধ্যাপক।  

দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে শুভ রায়ই বড়।
এদিকে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় গত ৪ ডিসেম্বরের সংখ্যায় ওয়াশিংটন থেকে সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে জানানো হয় শুভ ভারতীয় বংশোভূত মার্কিন নাগরিক।

দি টাইমস’র একই দিনের সংখ্যায় ‘ইউএস বেইজড ইন্ডিয়ান ক্রিয়েটস ফার্স্ট আর্টিফিশিয়াল কিডনি’ শিরোনামের শুভর কৃতিত্ব তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।