কানকুন: দরিদ্র দেশগুলোকে আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কোটি ডলার দেওয়ার সম্মতির মধ্যে দিয়ে নতুন বৈশ্বিক তহবিল গঠন করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার দরিদ্র দেশগুলোর জন্য তহবিল জোগাড়ের লক্ষ্যে ‘সবুজ জলবায়ু তহবিল’ গঠন বিষয়ে শনিবার সম্মত হন ধনী দেশের প্রতিনিধরা।
মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেট্রিসিয়া এসপিনোসা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মতির ক্ষেত্রে এটি একটি নতুন যুগের সূচনা। ’ এ বছরের কানকুন সম্মেলনে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনার জন্য ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন তিনি।
এদিকে বলিভিয়া এ প্রস্তাবের সমালোচনা করলেও দেশগুলোর একটি বড় অংশ মধ্য রাতের অধিবেশনে এর পক্ষে মত দেন। এ চুক্তির মধ্য দিয়ে গ্রীষ্মমন্ডলীয় বন রক্ষা ও বিশুদ্ধ প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে চুক্তি হয়।
অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী গ্রেগ কোমবেট এ চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেন।
মালদ্বীপের মোহাম্মদ আসরাম বলেন, ‘দর্শকদের করতালির আওয়াজ শুনলেই আপনি এখানকার অবস্থাটা বিবেচনা করতে পারবেন। ’
উল্লেখ্য সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণে এ দ্বীপ রাষ্ট্রটি অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে।
তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে সমপরিমাণ প্রতিনিধির সমন্বয়ে ২৪ সদস্যের বোর্ড গঠন করা হয়েছে। প্রথম তিন বছর নতুন আন্তর্জাতিক এ সংস্থার তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকবে বিশ্ব ব্যাংক। তবে ওয়াশিংটন ভিত্তিক এ ব্যাংকটির প্রতি আস্থা না থাকায় এর বিরোধীতা করেছেন অনেক কর্মী।
এদিকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ১০ হাজার কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ৩ কোটি ডলার দেওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে এ চুক্তিতে ‘জরুরি পদক্ষেপ’ হিসেবে শিল্পায়িত দেশগুলোর তাপমাত্রা বর্তমান থেকে আরও ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না বাড়ানো ও এক দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার চুক্তিকে শক্তিশালী করার জন্য গবেষণার আবেদন জানানো হয়।
এদিকে অধিকাংশ পরিবেশবীদই ‘সবুজ জলবায়ু তহবিল’ এ ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। অক্সফামের টিম গোরে একে স্বাগত জানানোসহ এ আলোচনায় প্রাণ সঞ্চার করেছে বলেও মন্তব্য করেন।
একইসঙ্গে গ্রীষ্মমন্ডলীয় বন রক্ষার মধ্য দিয়ে ধনী দেশগুলোর উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সাহায্য করার বিষয়টিও এ চুক্তিতে অন্তভুক্ত থাকবে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১০