ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাকে জোর সমর্থন করলেন আইনমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১০
বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাকে জোর সমর্থন করলেন আইনমন্ত্রী

ঢাকা : মালিক-শ্রমিক ছোট-ছোট বিরোধ সামাধানে ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা’র (এডিআর) বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ।

শনিবার বিকেলে সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ আইন কমিশন ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।



‘বাংলাদেশ শ্রমআইন ২০০৬-এ বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা অন্তর্ভূক্ত করা বিষয়ে বিশ্লেষণ ও আলোচনার উদ্দেশ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

এডিআর (অল্টারনেটিভ ডিসপিউট রেজুলেশন) সুবিধার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু ছোট মামলা আইন ও বিচারের মারপ্যাঁচে দীর্ঘস্থায়ী হয়। কিন্তু এডিআর ব্যবস্থার মাধ্যমে বিচার করলে মালিক ও শ্রমিক উভয়ই কম সময়ের মধ্যে বিচার পেয়ে যাবে। ’

ট্র্যাডিশনাল বিচার ব্যবস্থার মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করলে এডিআর’র মূল উদ্দেশ্য বাধাগ্রস্ত হবে অর্থাৎ এর উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে। অবশ্যই এটি আদালতের বাইরে থাকলে ভাল হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশে এডিআরকে সালিশি ব্যবস্থার একটি রূপ উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ ব্যবস্থায় অবশ্যই একজন মধ্যস্থতাকারী (মিডিয়েটর) থাকতে হবে, যার কাজ হবে পক্ষপাতহীনভাবে ঘটনার বিষয় উভয়পক্ষকে বুঝিয়ে বলে সমস্যা সমাধানে সাহায্য করা। ’

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘এডিআর বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি সময়পোযোগী উদ্যোগ। ’

তিনি বলেন, ‘মালিক ও শ্রমিক কেউই চায় না তাদের মধ্যকার সমস্যা জিইয়ে থাকুক। সরকারও চায় না এ ধরনের বিরোধ জিইয়ে থেকে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হোক।

তাই দেশ ও জাতির উন্নয়নের স্বার্থে মালিক-শ্রমিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে এডিআর শ্রম আইনের অন্তর্ভূক্ত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহসীন আলী খান। এডিআর বিষয়ক পেপার বিস্তারিত উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও ব্লাস্টের উপ-পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিচারপতি মো. আব্দুল আজিজ, বিচারপতি জিনাত আরা, শ্রম ও কর্মস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মো. নূরুল হক, প্রথম লেবার কোর্টের চেয়ারম্যান মো. শহীদুল্লাহ, দ্বিতীয় লেবার কোর্টের চেয়ারম্যান শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।