খাগড়াছড়িঃ খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গা ২৯ রাইফেলের ৪৭ জওয়ানের বিদ্রোহের বিচারকাজ আগামী ২৩ডিসেম্বর পর্যন্ত মূলতবি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আদালতের কার্যক্রম চলে।
বৃহস্পতিবার ছিল আসামিদের সাফাই সাক্ষীদের সাক্ষ্য দেওয়ার দিন। মাত্র ১ জন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য দেওয়ার কথা থাকলেও আদালতে উপস্থিত হননি তিনি। এর ফলে বিচারক সকল আসামিকে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণের জন্য বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেন। ৪৭ জন আসামির মধ্যে ২৮ জন লিখিত, ১৫ জন মৌখিক বক্তব্য দেন।
এর আগে ৪ জন আসামি নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতের কাছে অনুকম্পা প্রার্থনা করেন।
আগামী ২৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় প্রসিকিউশনের বক্তব্য এবং যুক্তিতর্কের মাধ্যমে পুনরায় আদালতের বিচার কাজ শুরু হবে। ততদিন পর্যন্ত আদালত মূলতবি ঘোষণা করেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট ২৯ রাইফেল ব্যাটালিয়নে সংগঠিত বিডিআর বিদ্রোহীদের বিচারকাজ শুরু হয়। গত ৫ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন ও শুনানি হয়। ৬- ৮ ডিসেম্বর প্রসিকিউশনের সাক্ষীদের সাক্ষ্যদান ও আসামিরা সাক্ষীদের জেরা করেন। সর্বমোট ২১ সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
বিশেষ আদালতের সহকারী বিচারক হিসেবে রয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতিনিধি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মোঃ ইজারুল হক আকন্দ(সাগর), ৫ রাইফেল্স ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তা লে. কর্ণেল আব্দুন নুর।
মামলার প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেন ২৯ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মেফতাউল করিম। আসামিদের পক্ষে ফ্রেন্ড অব দি অ্যাকিউজড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মেজর এস এম নাঈমুল আলম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১০