সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে ট্রেন পোড়ানো মামলায় শাহজাদপুর থানা বিএনপির সভাপতি হোসেন শহীদ মাহমুদ গেদন ও বেলকুচি থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান চেয়্যারম্যানসহ বেলকুচি, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ, তাড়াশ ও শাহজাদপুর উপজেলার প্রায় আড়াইশ’ নেতাকর্মী হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে হাইকোর্টের বিচারপতি শামীম হাসনাইন ও মো. রেজাউল হাসানের বেঞ্চ এ জামিন মঞ্জুর করেন।
হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিলের আগে ওইসব জামিনপ্রাপ্তদের কাউকে গ্রেপ্তার বা কোনোরকম হয়রানি করা যাবে না।
শাহজাদপুর থানা বিএনপির সভাপতি এসব বিএনপি নেতাকর্মীদের পে জামিনের আবেদন করেন।
সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খোন্দকার মাহবুব হোসেন ও ব্যারিস্টার জমিরউদ্দীন সরকার জামিন শুনানি করেন।
কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের তাতী বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মনির ও শাহজাদপুর থানা বিএনপির সভাপতি হোসেন শহীদ মাহমুদ গেদন জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শাহজাদপুর থানা বিএনপির সভাপতি মোবাইলে বলেন, ‘ট্রেন পোড়ানো মামলায় বিএনপির শত শত শান্তিপ্রিয় সাধারণ নেতাকর্মীকে মামলায় সম্পৃক্ত করার বিষয়টি খুবই অমানবিক। সবাই ঘটনার পর থেকে সবাই বাড়ি ছাড়া। যার ফলে আমাদের পরিবারগুলি মানবেতর জীবন-যাপন করছে। মামলায় কাদেরকে মূলতঃ সম্পৃক্ত করা হয়েছে, তাও আজ-পর্যন্ত জানা যায়নি। সেজন্য বাধ্য হয়ে আমরা প্রায় আড়াই’শ নেতাকর্মী হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিলাম। যার মধ্যে ৮০ জন শাহজাদপুর উপজেলার নেতাকর্মী রয়েছে। ’
গত ১১ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে মুলিবাড়ি রেল-লেভেল ক্রসিংয়ের পাশে দ্রতযান আন্তঃনগর ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ৭ বিএনপি নেতা-কর্মী নিহত হওয়ার পর বিুব্ধরা ট্রেনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর করে। এ ঘটনার পর বিএনপি ও ছাত্রদলের ৭ কেন্দ্রীয় নেতাসহ প্রায় সাড়ে ১২ হাজার নেতা-কর্মীর নামে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম ও জি.আর.পি থানায় ৮টি মামলা হয়। বিএনপি ও ছাত্রদলের ৭ কেন্দ্রীয় নেতাসহ ১৭ জন হাইকোর্ট থেকে এরই মধ্যে জামিন পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১০