নরসিংদী থেকে: নরসিংদীর ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় জীবনহানির পাশাপাশি প্রায় ৫০ কোটি টাকার মত আর্থিক য়তি হয়েছে বলে প্রাথমিক হিসাবে জানা গেছে।
বুধবার বিকাল পাঁচটার দিকে নরসিংদী রেল স্টেশনে মহানগর গোধুলি ও চট্টলা এক্সপ্রেসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে রাত পাঁচটা পর্যন্ত ১২ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়।
দুর্ঘটনায় দুইটি ট্রেনের লোকোমোটিভ (রেল ইঞ্জিন) দুমড়ে মুচড়ে যায়। এছাড়া আরো পাঁচটি বগি ব্যাপক তিগ্রস্ত হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের চীফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার শামসুজ্জামান রাত ১১টায় বাংলানিউজকে বলেন, ‘তিগ্রস্ত লোকোমোটিভ দুইটি মেরামতের জন্য দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলওয়ে ওয়ার্কশপে নিয়ে যাওয়া হবে। লোকোমোটিভগুলো মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী করতে দেড় থেকে দুই বছর সময় লাগবে। ’
তিনি জানান, লোকোমোটিভগুলো যখন কেনা হয় তখন এগুলোর প্রতিটির মূল্য ছিল ১৮ থেকে ২০ কোটি টাকা। আর কোচগুলো (বগি) ১৯৮৪ সালে ক্রয় করা হয়। তখন প্রতিটির ক্রয় মূল্য ছিল দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা।
তিনি বলেন, লোকোমোটিভ এবং কোচগুলো অনেক দিনের পুরনো হওয়ায় এগুলোর মূল্য এখন এত বেশি হবেনা।
শামসুজ্জামান রেলওয়ে গঠিত তদন্ত কমিটিরও একজন সদস্য।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক টি এ চৌধুরী রাতে বাংলানিউজকে বলেন, ‘য়তি নিরুপনের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলেই বলা যাবে কত টাকা য়তি হয়েছে। ’
এদিকে লোকোমোটিভগুলো এত বেশি মাত্রায় তিগ্রস্ত হয়েছে যে সেগুলো মেরামত করেও ব্যবহার উপযোগী করা যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
দুইটি লোকোমোটিভ এবং কোচগুলোর ক্রয়কালীন মূল্য ৫০ কোটি টাকার মত। তবে বর্তমানে লোকোমোটিভ এবং কোচের দাম আরও বেশি।
দুর্ঘটনার তদন্তে গঠিত চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি য়তিও নিরুপণ করবে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ০৫৩০ ঘন্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১০
