নীলফামারী: ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ী ঢলে নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার পানি বাড়ার ফলে ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার তিস্তাপাড়ের ৭ ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।
বন্যার্তরা তিস্তার বাঁধসহ বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, তিস্তার পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার প্রায় ১৫টি গ্রাম ও চর এলাকার ৫ হাজারেরও বেশি পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান, টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহীন ও খালিশাচাপানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জানান, বন্যার্তরা এখনও ত্রাণ পায়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মঈন উদ্দিন মন্ডল বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যারেজের সব গেট খুলে রাখা হয়েছে। ’
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। ’
এ ব্যাপারে নীলফামারী জেলা প্রশাসক জিলুর রহমান বলেন, ‘এটা হঠাৎ আসা বন্যা। পানি নেমে যাওয়ার পর বন্যার্তদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হবে। বন্যাকবলিত মানুষজন ত্রাণ চায় না, তারা বন্যার হাত থেকে রার জন্য প্রয়োজনীয় বাঁধ চায়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১০