ঢাকা: মায়ের পরকীয়ার বলি রাজধানীর আদাবরে শিশু সামিউল হত্যা মামলায় নিহত শিশুর পিতা মামলার বাদী কেএম আজমকে আদালতে হাজির হতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার শিশুটির মা আয়েশা হুমায়রা ওরফে এশা ও তার পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুকে অভিযুক্ত করে আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতা শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
মহানগর হাকিম নজরুল ইসলাম অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি না করে অভিযোগপত্র নিয়ে বাদীর কোন বক্তব্য আছে কিনা তা জানতে বাদীকে আগামি ৪ জানুয়ারি আদালতে হাজির হতে নোটিশ প্রদান করেন।
নোটিশ প্রদানের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন আদালতের আদাবর শাখার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) জিয়াউল হক।
গত ২ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার উপ-পরিদর্শক সাহান হক আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। অভিযোগ পত্রে ৩১ জনকে সাক্ষী করা হয়।
তদন্তে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় বাক্কুর সাবেক স্ত্রী নাদিরা জামান সাথী ও বাক্কুর ভাই নুরুজ্জামানকে মামলার দায় হতে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়। তারা বর্তমানে জামিনে আছে।
গত ২৯ জুন শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কু ও ১২ জুলাই এশা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ২৮ জুন আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহার হতে জানা যায়, আসামি আয়েশা হুমায়রা এশা ও কেএম আজম দম্পতির একমাত্র সন্তান খন্দকার শামিউল আজিম ওয়াফি। গত ২২ জুন বিকাল সাড়ে ৫ টায় নিহত ওয়াফি বাসার সামনে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় তার বাবা কেএম আজিম ঐদিনই আদাবর থানায় জিডি করেন।
২৪ জুন সামিউলের লাশ আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
পরে নিহত শিশুর পিতা কে এ আজম বাদী হয়ে স্ত্রী আয়েশা হুমায়রা ওরফে এশা ও তার কথিত প্রেমিক শামসুজ্জামান ওরফে আরিফকে আসামি করে ২৪ জুন আদাবর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরপরই এশা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১০