ঢাকা: সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের কাছ থেকে আদায়কৃত টাকা হাসপাতালের কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের সরকারি সিদ্ধান্ত তিনমাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এ এএইচ এম শামছুদ্দীন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, রোগীদের কাছ থেকে বিভিন্ন চার্জবাবদ টাকা আদায়ের জন্য ২০০৯ এর ২ মার্চ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে। এরপর ২০১০-এর ২২ মে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে ওই অর্থের ৫০ ভাগ চিকিৎসক, সেবিকা ও কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সরকারি এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ, অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী ও অ্যাডভোকেট সারোয়ার আহাদ চৌধুরী বৃহস্পতিবার সকালে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।
রিটে স্বাস্থ্যসচিব, অর্থসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
শুনানি শেষে আদালত সরকারি হাসপাতালে রোগীদের উন্নত চিকিৎসার নিশ্চয়তা বিধান এবং অর্থ আদায়ের পরিমাণ ভবিষ্যতে না বাড়ানোর নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে তিন সপ্তাহের রুল জারি করেছেন।
একই সঙ্গে আদালত স্বাস্থ্যসচিব, অর্থসচিব ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ১৫ দিনের মধ্যে একটি কমিটি গঠন করতে বলেছেন। এ কমিটি উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য নীতিমালা তৈরি করবে এবং তা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতে দাখিল করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, ০২ ডিসেম্বর, ২০১০