চট্টগ্রাম: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে তিন কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।
বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশনে বগিভিত্তিক গ্রুপ কনকর্ড ও গ্রিন ভয়েজের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- শাহরিয়ার কনক (২৫), ইশতিয়াক মাহমুদ (২৪) এবং জায়েদ গালিব (২৫)।
কনক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষ, ইশতিয়াক ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষ এবং গালিব সমাজতত্ত্ব বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। এরা সবাই কনকর্ড গ্রুপের কর্মী।
আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইন চার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে আসা একটি শাটল ট্রেন বিকেলে ষোলশহর স্টেশনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের কর্মীরা হাতাহাতি ও লাঠি নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন।
পূর্ব শত্র“তার জের ধরে এ মারামারির ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান এস আই জহির।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আখতার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘বগিভিত্তিক গ্রুপগুলো কী কারণে সব সময় মারামারি করে সেটা তারা নিজেরাই জানে। তবে এটা সম্ভবত আগের কোনও মারামারির জের হতে পারে। ’
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে আলোচনা করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান প্রক্টর।
তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, শাটল ট্রেনে আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত (ইভটিজিং) করার জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
তবে সংঘর্ষের পেছনে ইভটিজিং দায়ী নয় বলে দাবি করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আখতার হোসেন এবং চমেক পলিশ ফাঁড়ির এস আই জহিরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১০