ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় সংঘর্ষে জিএমসহ আহত ১০

জাহিদুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১০
আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় সংঘর্ষে জিএমসহ আহত ১০

ঢাকা: শ্রমিক নির্যাতনের জের ধরে সাভারের আশুলিয়ায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় পরপর দ্বিতীয় দিনের মত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকালের এঘটনায় আহত হয়েছেন কারখানার মহাব্যবস্থাপকসহ (জিএম) কমপক্ষে ১০ জন।



এদের মধ্যে কারখানার (জিএম) শহিদুল ইসলাম (৪৫) ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা গনি আমিনকে (৩৫) গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কারখানাজুড়ে বিরাজ করছে তীব্র উত্তেজনা।

বুধবার সকাল ৮টার পরে আশুলিয়ার পূর্ব নরসিংহপুর এলাকায় অবস্থিত মেডলার অ্যাপারেল্স লিমিটেড নামের তৈরি পোশাক কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।

কারখানা সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, গত মঙ্গলবার কারখানার সহকারী মহাব্যাবস্থাপকের (এজিএম) হাতে শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শ্রমিক অসন্তোষের শুরু। এর জের ধরে এদিন কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

একাধিক শ্রমিক জানান, বুধবার সকালে কাজে যোগ দিতে গিয়ে শ্রমিক নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও অপসারণদের দাবি জানান শ্রমিকরা।

এ সময় কাজ বন্ধ রেখে তারা দাবি আদায়ে বিক্ষোভ শুরু করলে কারখানায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।

এক পর্যায়ে শ্রমিকরা দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মকর্তাদের ওপর ফের হামলা চালালে তাদের রায় এগিয়ে আসেন কারখানার নিরাপত্তারীরা।
এ সময় উভয়পে সংঘর্ষ ও হামলায় আহত হন কারখানার জিএম শহিদুল ইসলামসহ কমপে ১০ জন।

অথচ সকাল থেকেই কারখানার সামনে মোতায়েন ছিল অতিরিক্ত পুলিশ।

প্রসঙ্গত: মঙ্গলবার সকাল এগারটার দিকে কারখানার সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম আয়রনম্যান হাবিবুলাহকে এজিএম আব্দুল মতিন এর কে ডেকে নিয়ে যায়।

সেখানে প্রোডাকশন কেন কম হচ্ছে জানতে চেয়ে হঠাৎ করেই ুব্ধ হয়ে এজিএম আব্দুল মতিন আয়রনম্যান হাবিবুলাহ’র ওপর চড়াও হন। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষে আহত হন ৫ জন।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কারখানার প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক নির্যাতনের প্রতিবাদে কাজ বন্ধ করে এজিএমসহ শ্রমিক নির্যাতনকারী আরও কয়েকজন কর্মকর্তার অপসারণ ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপ।

আশুলিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে কারখানায় পর্যাপ্ত পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

আগের দিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের জের ধরেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদশে সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।