ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা : বাবর-রহিমের আরও ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১০
দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা : বাবর-রহিমের আরও ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন

চট্টগ্রাম: চাঞ্চল্যকর দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিমকে আবারও ১০দিনের রিমান্ডে নিতে আদালতে আবেদন জানিয়েছে সিআইডি।

মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির চট্টগ্রাম অঞ্চলের এএসপি মো.মনিরুজ্জামান মঙ্গলবার বিকেলে এ মামলায় রাষ্ট্রপরে আইনজীবী ও মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট কামালউদ্দিনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে রিমান্ডের আলাদা দুটি আবেদন দাখিল করেন।



আদালত বুধবার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রহিমের এবং আগামী ৬ ডিসেম্বর লুৎফুজ্জামান বাবরের রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন বলে জানিয়েছেন মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট কামালউদ্দিন আহমেদ।  

পিপি কামালউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘দশ ট্রাক অস্ত্র খালাসের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এরই মধ্যে আংশিক দায় স্বীকার করেছেন। ওই সসময় অস্ত্র খালাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত এনএসআইকে বাঁচানোর ব্যাপারে তিনি ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। এসব বিষয়ে আরও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের দুজনকে আবারও রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। ’

এর আগে গত ৩ অক্টোবর সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেেিত বাবরকে দশ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় দায়ের হওয়া দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন আদালত। এরপর সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেেিত পহেলা নভেম্বর বাবরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এছাড়া দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় ২০০৯ সালে গ্রেপ্তারের পর থেকে এনএসআই’র তৎকালীন মহাপরিচালক আব্দুর রহিমকে কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি।

উল্লেখ্য, দশ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় অস্ত্র ও চোরাচালান আইনে দায়ের হওয়া দুটি মামলায় পুলিশ এর আগে চার্জশিট দাখিল করলেও বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ১২ ফেব্র“য়ারি মহানগর দায়রা জজ মামলা অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

অধিকতর তদন্ত শুরুর পর থেকে মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি এ পর্যন্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সাবেক দুই মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিম, সাবেক পরিচালক উইং কমান্ডার শাহাবুদ্দিন, উপ-পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর লিয়াকত হোসেন, ফিল্ড অফিসার আকবর হোসেন, সিইউএফএল’র সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহসিন উদ্দিন চৌধুরী, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) একেএম এনামুল হককে গ্রেপ্তার করেন। এদের মধ্যে কয়েকজন এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।