ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দুদকের মামলায় কোকো ও সায়মনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১০
দুদকের মামলায় কোকো ও সায়মনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

ঢাকা: বিদেশে অর্থ পাচার সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ও সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার-৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোজাম্মেল হোসেন এ অভিযোগ গঠন করেন।



আগামী ৪ জানুয়ারি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

অভিযোগ গঠনের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি মোশারফ হোসেন কাজল।

আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ আরাফাত রহমান কোকোর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিলের আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দেন।

শুনানিতে কোকোর আইনজীবী মোহসীন মিয়া বলেন, কোকো সরকারের নির্বাহী আদেশে প্যারোলে মুক্ত হয়ে বিদেশে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৯ অক্টোবর সরকার তার প্যারোল বাতিল করে এবং ৩০ অক্টোবর তাকে দেশে ফিরে আতœসমর্পন করতে বলা হয়। এরপর হাইকোর্টে রিট পিটিশনের ভিত্তিতে আদালত ৫ অক্টোবর পর্যন্ত এবং বিগত ১১ অক্টোবর রুল মামলার পুর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে প্যারোলের মেয়াদ আরও ২০ দিন বাড়ান।

এ আদেশের বিরুদ্ধে সরকারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগ ২০ দিনের প্যারোল স্থগিত করেন।
দরখাস্তকারীকে কোন আতœপক্ষ সর্মথনের সুযোগ দেওয়া হয় নাই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার আবেদনটি বিবেচনাধীন থাকাবস্থায় গত ৩১ অক্টোবর  কোকোর জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করা হয়। এসময় তিনি গ্রেপ্তারী পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন জানান।

এর তীব্র বিরোধীতা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের(দুদক) আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল। তিনি বলেন, কোকোর জামিন বাতিল হয়ে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করা হয়েছে। এ অবস্থায় কোকোর আতœসর্মপণ ছাড়া আসামি পক্ষে কোন দরখাস্ত বা আবেদন করার সুযোগ নাই। তিনি কোকো ও সায়মনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন জানান।

শুনানি শেষে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন নাকচ করে কোকোর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০০৯ এর ৪(২) ধারায় ও সায়মনের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত ।

ইসমাইল হোসেন সায়মন শুরু থেকেই পলাতক আছেন।



গত বছরের ১৭ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ পরিচালক মো. আবু সাঈদ।

মামলায় আরাফাত রহমান কোকো অপর আসামি ইসমাইল হোসেন সায়মনের সহায়তায় অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ উৎস গোপন করার জন্য ২৮ লাখ ৮৪ হাজার ৬৬৩ সিঙ্গাপুরি ডলার এবং নয় লাখ ৩২ হাজার ৬৭২ মার্কিন ডলার অবৈধ উপায়ে বিদেশে পাচার করার অভিযোগ আনা হয়।

মামলাটি তদন্ত করে গত ১২ নভেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা কোকো ও সায়মনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

কোকোর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, মোহসীন মিয়া, মোস্তফা খান, ওমর ফারুক ফারুকী, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ ও জয়নুল আবেদীন মেজবাহ প্রমুখ আইনজীবী।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।