ঢাকা: বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে মঙ্গলবার সদরঘাট থেকে বেশ কয়েকটি লঞ্চ সময়মতো ছেড়ে গেলেও সেগুলোতে যাত্রীসংখ্যা ছিল খুবই কম। আবার কোনো কোনোটিতে যাত্রীই ছিল না।
সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও ফরিদপুরের বিভিন্ন রুটে ১৫টি লঞ্চ ছেড়ে যায়।
বিআইডব্লিউটিএ-এর সদরঘাট টার্মিনালের লঞ্চ সারেং আসাদুজ্জামান বলেন, ‘হরতালের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে গেলেও সেগুলোতে যাত্রী ছিল না। ’
সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা থেকে ইচলীর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ‘ময়ূর-১’-এর সুপারভাইজার আব্দুল কাইয়ুম বাংলানিউজকে বলেন, ‘ধারণক্ষমতা অনুযায়ী এ লঞ্চে তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ যাত্রী বহন করা যায়। কিন্তু আজ মাত্র ৫০ জন যাত্রী নিয়েই লঞ্চটি সদরঘাট ছেড়ে গেছে। ’
সদরঘাট টার্মিনালের ঘাট সুপারভাইজার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘হরতালের কারণে লোকজন খুবই কম। যাত্রী না থাকায় মালিকরা বিপাকে পড়েছেন। ’
তিনি জানান, সকাল সোয়া ৯টায় ঢাকা থেকে চাঁদপুরের চর ভৈরবীর উদ্দেশে লঞ্চ ‘শরীয়্যাহ’র ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও যাত্রী না থাকার কারণে সেটা ছাড়েনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১০