সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে: বিএনপির ডাকা মঙ্গলবারের হরতাল শুরু হওয়ার পর রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি। তবে ছোট ছোট পরিবহনের কিছু বাস ছেড়ে গেছে ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর উদ্দেশে।
বাংলানিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট হায়াৎ মাহমুদ সায়েদা বাস টার্মিনাল সংশ্লিষ্ট বাস মালিক-শ্রমিক নেতাদের বরাত দিয়ে জানান, সকাল ১০টা পর্যন্ত সেখান থেকে ঢাকার বাইরে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।
সায়েদাবাদ আন্তঃবাস টার্মিনাল বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘গতকাল সকাল ১১টায় বাস মালিক সমিতির সিদ্ধান্ত হয় টার্মিনাল থেকে দূর পাল্লার বাসসহ সব ধরনের বাস রাস্তায় নামানো হবে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ সকাল থেকে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি দূর পাল্লার বাস ছেড়ে গেছে। তবে সেগুলো ছিল ছোট ছোট পরিবহনের। ’
শ্রমিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী শোভা বাংলানিউজ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘গাড়ি চলবে। আমরা হরতাল মানি না। যদি পিকেটাররা গাড়ি ভাঙচুর করে তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। ’
তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে ছোট ছোট পরিবহনের কিছু বাস ছেড়ে গেছে। তবে বড় পরিবহনগুলো তাদের বাস ছাড়েনি। ’
সোহাগ, হানিফ, ঈগল, এস আলম, গ্রিন লাইন, ইউনিকের মতো বড় বড় পরিবহনগুলোর কউন্টারে কর্তব্যরত টিকি মাস্টার ও ব্যবস্থাপকরা বাংলানিউজকে জানান, হরতালে কোনো গাড়ি ছাড়ার ইচ্ছা তাদের নেই।
এ বিষয়ে বাংলানিউজ প্রতিনিধির কথা হয় হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার ম্যানেজার মোহাম্মদ আবদুল আলীম, ঈগলের কাউন্টার মাস্টার অমিত কুমার ও শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মাকসুদের সঙ্গে।
তারা বাংলানিউজকে জানান, ‘অবস্থা বুঝে বিকেল থেকে গাড়ি ছাড়ার প্রস্তুতি নেওয়া হবে। ’
এদিকে, সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে রাজধানীতে চলাচলকারী সিটি সার্ভিস চললেও তার সংখ্যা ছিল অন্য দিনের তুলনায় কম।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১০