ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

যাত্রাবাড়ীর আলোচিত ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় লিংকন ফের আটক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১০

ঢাকা : যাত্রাবাড়ী শহীদ ফারুক রোডের আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলায় নিহত মিজানুর রহমান মিল্টনের ছোট ভাই তৌহিদুর রহমান লিংকনকে অবশেষে আটক করা হয়েছে। ওই হত্যাকাণ্ডের পরপরই লিংকনকে আটক করেও যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।



থানা থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকেই লিংকন গা ঢাকা দেন। ফলে ট্রিপল মার্ডারের মূল রহস্য উদঘাটনের ক্ষেত্রে তদন্তকারী ডিবি কর্মকর্তাদের গলদঘর্ম অবস্থা হয়।

দীর্ঘ আড়াই মাস পর শনিবার রাত ১১টায় শহীদ ফারুক রোডের অন্তু ডিপার্টমেন্টাল স্টোর অ্যান্ড মেডিকেল সেন্টার থেকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। একই ঘটনায় পালিয়ে থাকা লিংকনের অপর ভাই জাহিদুর রহমান লিপটনকে গ্রেপ্তারের জন্য ডিবির টিম মধ্যরাতেও অভিযান চালাচ্ছিল।

ট্রিপল মার্ডার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান শনিবার রাতে লিংকনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বাংলানিউজকে জানান, অন্যতম সন্দেহভাজন লিংকনের অপর ভাই লিপটনকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারেও অভিযান চলছে। খুব শিগগির আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলার চার্জশিট দাখিল করা সম্ভব হবে বলেও ডিবি ইন্সপেক্টর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান আরও জানান, ওই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সুমন এর আগেই ট্রিপল মার্ডার সংঘটনের ব্যাপারে আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। তার স্বীকারোক্তির পর থেকেই গোয়েন্দা পুলিশ লিংকন ও লিপটনের সন্ধানে বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে যাত্রাবাড়ি শহীদ ফারুক রোডের ৩৭/১ নম্বর বাড়িতে নৃশংস ট্রিপল মার্ডারের ঘটনা ঘটে। বাড়ি ও মার্কেটের অংশ নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে সুফিয়া খাতুন (৭৫), তার ছেলে মিজানুর রহমান মিল্টন (৫৩) ও পুত্রবধূ বিথী রহমানকে (৪৫)  জবাই করে দুর্বৃত্তরা। জবাইয়ের পরে সুফিয়া খাতুনের নাকে-মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। অন্যদিকে বিথী রহমান ও তার স্বামীকে জবাইয়ের পর কপালে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করা হয়।

এ ব্যাপারে নিহত মিজানের ছেলে আশিকুর রহমান অন্তু বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-১৬ (৯) ২০১০) রুজু করার পর পুলিশ লিংকন, লিপটন ও তার ছেলে সুমন এবং বাড়ির দারোয়ান আকবর হোসেনকে আটক করে। যাত্রাবাড়ী থানায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে লিংকন ও লিপটনকে ছেড়ে দেওয়ার পর পরই তারা গা ঢাকা দেন। এ নিয়ে অভিযোগ ওঠার পর মামলাটির তদন্তভার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে স্থানান্তর করা হয়।

বাংলাদেশ সময় : ০৪১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।