ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গণপরিবহন ধূমপানমুক্ত রাখার ঘোষণা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১০

ঢাকা: পরো ধূমপানের তি থেকে নারী-শিশুসহ অধূমপায়ীদের রার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সর্পোট অথরিটি (বিআরটিএ)। এ লক্ষ্যে ২৭ নভেম্বর শনিবার থেকেই পাবলিক পরিবহন ধূমপানমুক্ত রাখার সব উদ্যোগ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।



শনিবার বিআরটিএ, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের যৌথ আয়োজনে বিআরটিএ মিলনায়তনে ‘গণপরিবহন ধূমপানমুক্ত রাখার প্রয়োজনীয়তা ও করণীয়’  শীর্ষক সেমিনারে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

সেমিনারে জানানো হয়, ধূমপান বা তামাক সেবন না করেও শুধু পরো ধূমপানের কারণে পৃথিবীতে প্রতিবছর ৬ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে। কেবল শিশুই মারা যাচ্ছে দেড় লাধিক। এছাড়া পরো ধূমপানের কারণে নারী-শিশুদের স্বাস্থ্যে তিকর প্রভাব পড়ছে। এ কারণে পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত রাখার সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও রেলপথ বিভাগের সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বেনজীর আহমেদ বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর চেয়ারম্যান মো. আইয়ুবুর রহমান খান-এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী হেলাল আহমেদ ও বিআরটিএ’র পরিচালক (বাস্তবায়ন) তপন কুমার নাথ। সেমিনার সঞ্চালনা করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর প্রকল্প সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম সুজন।

সেমিনারে সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘আইন অনুযায়ী পাবলিক পরিবহনগুলো ধূমপানমুক্ত। কিন্তু বাস ও টেম্পু চালকদের ধূমপান করার অভিযোগ রয়েছে। এজন্য এখন থেকে পাবলিক পরিবহন ধূমপানমুক্ত রাখতে যানবাহনে নো-স্মোকিং সাইনসহ লেখা রাখা বাধ্যতামূলক করা হবে। নইলে ফিটনেস দেয়া হবে না। এছাড়া কোন চালক যেন যানবাহনে ধূমপান না করেন সেজন্য চালকদের প্রশিণে ধূমপানসহ তামাক ও মাদক সেবন অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। ’

অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, ‘পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে পরো ধূমপানের কারণে ৬০ ভাগ নারী তিগ্রস্ত হচ্ছে। অধূমপায়ীদের মৃত্যুঝুঁকি থেকে রা করতে যানবাহন শতভাগ ধূমপানমুক্ত করা দরকার। ’

ডিএমপি কমিশনার বেনজির আহমেদ বলেন, ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে পুলিশের মতা সীমিত। তবে পুলিশ দায়বদ্ধতা থেকেই এ আইন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। ’

ড. মোস্তফা জামান বলেন, ‘তামাকের ভয়াবহতা ও তামাকজনিত মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব কমাতে বিদ্যমান আইনকে আরও শক্তিশালী করা দরকার। ’

আবু নাসের খান বলেন, ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে পুলিশ, বিআরটিএ, যানবাহন চালকদের মতায়িত করে আইন উন্নয়ন করতে হবে। পাশাপাশি দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ’

সভাপতির বক্তব্যে আইয়ুবুর রহমান খান বলেন, ‘ধূমপান শুধু মাদক সেবনেরই প্রবেশ পথ নয়, এটা দুর্নিতীর প্রবেশ পথ। তাই মাদকাসক্তি থেকে তরুণ প্রজন্মকে রা ও দুর্নিতী কমাতে ধূমপানের উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে হবে। ’

অনুষ্ঠানে যানবাহন মালিক-চালক, বিআরটিএ-সহ যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, ডিএমপি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময় : ১৮৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad