ঢাকা: দেশের ১০ নারী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হলো বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত ওমেন’স ফেডারেশন।
শনিবার ঢাকার ওয়াইডাব্লিউসিএ মিলনায়তনে দলিত নারী ফোরাম ও ৯টি দলিত নারী সংগঠন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ ফেডারেশন গঠন করা হয়।
ফেডারেশনভুক্ত অন্য সংগঠনগুলো হলো- অভিযান-খুলনা, ইসা-শ্রীমঙ্গল, দলিত নারী পরিষদ-যশোর, মাদার্স কাব ফোরাম-মৌলভীবাজার, অন্তজ নারী পরিষদ-সাতীরা, হরিজন নারী কল্যাণ সমিতি-সৈয়দপুর, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আদিবাসী কল্যাণ সমিতি-শ্রীমঙ্গল, ইয়াং মণিপুরী অ্যাসোসিয়েশন-সিলেট, অশ্রুমোচন দুস্থ মহিলা ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা-যশোর।
এসব সংগঠনের প্রতিনিধি মনি রানী দাসকে ফেডানেশনের আহ্বায়ক, প্রভা রানী বাড়াইককে যুগ্ম আহ্বায়ক ও বনানী বিশ্বাসকে সদস্যসচিব করে ১১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, তুতিয়া বাঁশফোড়, শোভা রানী বাড়ৈ, ঝর্ণা রানী দাস, রমা রায়, সন্ধ্যা রানী বিশ্বাস, কল্পনা রানী বিশ্বাস, ধরা দেবী দাস ও মিতালী বাড়াইক।
বাংলাদেশ মানবাধিকার সংগঠন নাগরিক উদ্যোগের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার দলিত ও বঞ্চিত নারীদের সমস্যা ও বৈষম্যের ধরন তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, ভারতের নবসৃজন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মঞ্জুলা প্রদীপ, যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংগঠন দলিত সলিডারিটি নেটওয়ার্কের সদস্য বেথান কোবলে প্রমুখ।
সংহতি বক্তব্যে ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর নারীরা পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার শিকার। ’
এ সময় দলিত নারীদের সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। ’
জাকির হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের এই দলিত নারীদের বঞ্চনা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রচলিত সকল ধরনের কাজের সাথে যুক্ত হতে হবে। শুধু সুইপারের কাজ করলে হবে না। দলিত নারীদের ছোট ছোট সংগঠনগুলো ইতিমধ্যেই যেসব প্রশিণ কর্মসূচি ও কার্যক্রম হাতে নিয়েছে তা খুবই আশাব্যাঞ্জক। ’
ভারতীয় মানবাধিকার কর্মী মঞ্জুলা প্রদীপ বলেন, ‘ভারতের দলিত নারী সংগঠনগুলো তাদের নেতৃত্ব উন্নয়ন প্রশিণের মাধ্যমে দলিত নারীদের অবস্থা ও অবস্থান পরিবর্তনের জন্য কাজ করছে। ’
তিনি আরো বলেন, ‘ভারতের দলিত নারী সংগঠনগুলো নিজেদের মতায়নের জন্য একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি বাংলাদেশের দলিত নারী সংগঠনগুলোও একযোগে কাজ করবে। ’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত নারী নেত্রীদের মধ্যে রমা রায়, প্রভা রানী বাড়াইক, ধরা দেবী দাস, গীতা গোস্বামী, দেবলা রানী দাস, তুতিয়া বাঁশফোড়, মিতালী বাড়াইক, নীলা রানী সিনহা, শোভা রানী বাড়ৈ প্রমুখ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
দলিত নারী ফোরামের সভাপতি মনি রানী দাস বলেন, ‘দলিত জনগোষ্ঠীর নারীরা প্রথমত দলিত হিসেবে দ্বিতীয়ত জনগোষ্ঠীর মধ্যেই নারী হিসেবে বঞ্চিত। তাই দলিত নারীদের উন্নয়নে সরকারের বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন। ’
অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন নারীনেত্রী বনানী বিশ্বাস।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১০