চট্টগ্রাম: বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণে চট্টগ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) ফার্টিলাইজার লিমিটেড বন্ধ হয়ে গেছে।
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এ কারখানাটি ডিএপি সার উৎপাদনের একমাত্র কারখানা।
জানা গেছে, উৎপাদন সচল রাখতে ডিএপি কারখানায় দৈনিক ন্যূনতম ২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। এতদিন পার্শ্ববর্তী চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটড (সিইউএফএল) থেকে এ কারখানায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হত। কিন্তু সিইউএফএল কর্তৃপ বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় গত জুলাই মাস থেকে কারখানটির উৎপাদন ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছিল।
গ্যাস সংকটের কারণে কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর এ মাসের শুরুতে সিইউএফএল চালু হলে ৩ নভেম্বর থেকে ডিএপি কারখানাটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ডিএপি ফার্টিলাইজার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘সিইউএফএল বন্ধ থাকার সময় আমাদের কারখানা সচল ছিল। এখন সিইউএফএল চালু হওয়ার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় ডিএপি বন্ধ হয়ে গেছে। ’
কারখানার বিপণন বিভাগের কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, শিল্প মন্ত্রণালয় চলতি অর্থবছরে দেড় লাখ মেট্রিক টন ডিএপি উৎপাদনের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গত পাঁচ মাসে উৎপাদন হয়েছে মাত্র ২০ হাজার মেট্রিক টন। গত বছরের সার মজুদ ছিল প্রায় ২ হাজার মেট্রিক টন।
সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত মাত্র ২২ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার ডিলারদের দিতে পেরেছে কর্তৃপ। অথচ গত বছর এ মৌসুমে ডিএপি কর্তৃপ ডিলারদের ৮০ হাজার মেট্রিক টন সার সরবরাহ করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএপি কারখানার বিপণন বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে কারখানাটিতে আড়াইশ মেট্রিক টন সার মজুদ আছে।
এ অবস্থায় সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে ডিএপি কারখানার নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বিসিআইসি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানায় সূত্র।
এ প্রসঙ্গে ডিএপি কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘যে পরিমাণ সার মজুদ আছে আপাতত তা-ই সারা দেশের ডিলারদের মধ্যে সুষমভাবে বন্টনের জন্য মন্ত্রণালয় ও বিসিআইসি নির্দেশ দিয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময় ১৪১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১০