ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আফগানিস্তানে অপহৃত ৫ বাংলাদেশির সন্ধান মেলেনি

জসীম উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১০
আফগানিস্তানে অপহৃত ৫ বাংলাদেশির সন্ধান মেলেনি

ঢাকা: আফগানিস্তানে অপহৃত পাঁচজন বাংলাদেশি নির্মাণকর্মীর সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। যে দু’জনকে অপহরণকারীরা ছেড়ে দিয়েছে তারা এখন সামহোয়ান কর্পোরেশনের প্রধান ক্যাম্পে অবস্থান করছেন।

এদিকে মুক্তি পাওয়া দুইজনসহ অপহৃত সাতজনের পরিচয় জানা গেছে।

তবে এখনো অপহরণকারীদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। অপহরণকারীরাও কোনো যোগাযোগও করেনি।

দক্ষিণ কোরীয় কোম্পানি সামহোয়ান কর্পোরেশনের ঢাকা অফিস জানিয়েছে, আফগানিস্তানে কর্মরত তাদের সকল বাংলাদেশি কর্মীকে বলখ প্রদেশের রাজধানী মাজার-ই-শরীফে অবস্থিত প্রধান ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে।

সামহোয়ান কর্পোরেশনের হয়ে আফগানিস্তানে মোট ১২৪ জন বাংলাদেশি নির্মাণ কর্মী কাজ করছে বলে সোমবার সকালে বাংলানিউজকে জানান কোম্পানির ঢাকা অফিসের ব্যবস্থাপক মো. হুমায়ুন কবির।  

গত শুক্রবার রাত আটটায় আফগানিস্তানের বালখ প্রদেশের রাজধানী মাজার-ই-শরীফের কাছে দক্ষিণ কোরীয় নির্মাণ কোম্পানি সামহোয়ান কর্পোরেশনের ক্যাম্পে দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালায়। হামলায় কাজী আলতাফ হোসেন নামের পাবনার একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী নিহত হন। ১৭ জন বাংলাদেশি নির্মাণ কর্মীর মধ্যে নয়জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও সাতজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। তাদের মধ্যে রোববার দুইজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

হুমায়ুন কবির আরো জানান, যে দুইজন মুক্তি পেয়েছে তারা হলেন চাঁদপুরের আবুল খায়ের এবং টাঙ্গাইলের মজিবুর রহমান। এখনো নিখোঁজ পাঁচজনের মধ্যে তিনজন হলেন টাঙ্গাইলের আমিনুল ইসলাম, লাবলু রহমান ও শফিকুল আলম। বাকি দুইজনের একজন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ইমাম উদ্দিন এবং অপরজন রাজশাহীর মাহবুব আলী।

অপহরণকারীরা চাঁদপুরের আবুল খায়ের এবং টাঙ্গাইলের মজিবুর রহমানকে পথ থেকেই ছেড়ে দেয় বলে জানা গেছে।
 
সামহোয়ান কর্পোরেশন জানায়, কিছুটা অসুস্থ থাকায় এই দু’জন তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। মাঝপথ থেকে তাদের ছেড়ে দেওয়ায় বাকি পাঁচজনকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে তারা কোনো তথ্য দিতে পারেনি।

মুক্তি পাওয়া এবং নিখোঁজ সবার নিকট আত্মীয় স্বজনও সামহোয়ান কর্পোরেশনে কর্মরত আছেন বলেও হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ১২৪ জন কর্মী বিভিন্ন উপ-ক্যাম্পে ভাগ হয়েছিল। অপহরণের পর তাদের মাজার-ই-শরীফের মূল ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। ’  

অপহরণকারীরা মুক্তিপণ বা অন্য কোনো দাবি জানিয়েছে কিনা কিংবা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কীনা জানতে চাইলে হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আফগানিস্তানেও সামহোয়ান কর্পোরেশনের অফিস রয়েছে। সেখান থেকে ঢাকা অফিসকে এখনো কিছু জানানো হয়নি। ’

তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, উজবেকিস্তানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে আফগানিস্তান অফিস সম্মিলিতভাবে জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগ জিম্মিদের মুক্তি এবং নিহতের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনাসহ সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আফগান সরকারকেও অনুরোধ জানিয়েছে। তবে অপহরণকারীরা এখনও কোনো যোগাযোগ না করায়  অপহৃত বাংলাদেশিদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা এখনো জানতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ