ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মহান বিজয় দিবসে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১০
মহান বিজয় দিবসে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ

ঢাকা: যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন উপলে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূিচ গ্রহণ করা হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে ঢাকায় একত্রিশ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে সূচনা হবে দিবসটির।


 
এদিন প্রত্যুষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধাগণ, বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিকগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সাধারণ জনগণ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বিজয় দিবসে তেজগাঁও পুরাতন বিমান বন্দরস্থ জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে মুক্তিযোদ্ধা, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিএনসিসি, বাংলাদেশ রাইফেলস, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও ভিডিপি, কোস্টগার্ড, কারারী এবং ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের সমন্বয়ে সম্মিলিত বাহিনীর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে।

রাষ্ট্রপতি এতে সালাম গ্রহণ করবেন এবং কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করবেন।

এসময় অনুষ্ঠিত হবে বিমানবাহিনীর মনোজ্ঞ ফাইপাস্ট ও অ্যারোবেটিক ডিসপ্লে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের যান্ত্রিক বহরের প্রদর্শনীও ।

এছাড়া রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সংবর্ধনায় মিলিত হবেন।  

বরাবরের মতো দিবসটিতে সরকারি ছুটি থাকছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বাণী দিয়েছেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্র সমূহ প্রকাশ করবে বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র। সরকারি ও বেসরকারি বেতার ও টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।

এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা ।

এছাড়া হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রমসহ এ ধরনের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং রাতে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে।

দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad