জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার খাসবাউরি গ্রাম থেকে উদ্ধার করা মুদ্রাগুলো মোগল সম্রাট আকবরের শাসনামলে তৈরি বলে শনাক্ত করা গেছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ইমেরিটাস প্রফেসর ড.একেএম ইয়াকুব আলী মুদ্রাগুলোকে মুগল সম্রাট আকবরের শাসনামলে তেরি বলে শনাক্ত করেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আকবরের শাসনকাল ১৫৮৪ থেকে ১৬০৫ খৃষ্টাব্দের মধ্যে এ মুদ্রাগুলো মুদ্রিত হয়। ছোট বড় ও মাঝারি তিন ধরণের এসব মুদ্রাকে সে সময় ইলাহী বা বিশেষ মুদ্রা বলা হতো। এর একপাশে আরবি মোটা হরফে আল্লাহু এবং অপর পাশে এর মুদ্রণের সময়কাল লেখা অরগুলো নস্টালিক অরের। ’
পাঁচবিবি থানার ওসি বিমান কুমার কর্মকার বাংলানিউজকে জানান, মুদ্রাগুলো দেখে সহজেই অনুমান করা যায় এগুলো অনেক পুরাতন। ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে এইসব মুদ্রা বগুড়ার মহাস্থান প্রত্নতাত্তিক জাদুঘরে হস্তান্তরের জন্য জয়পুরহাট আদালতে আবেদন জানানো হয়।
অনুমতি পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
পাঁচবিবি থানা সুত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি উপজেলার খাসবাউরি গ্রামের মৃত নীলকান্ত রায়ের পুরাতন মন্দিরে মাটি কাটার সময় দিনমজুর দিলিপ কুমার মাহাতো মাটির পাত্রে ২৮টি পুরাতন মুদ্রা উদ্ধার করে। পরে গ্রামের প্রবীণ নেতা মীর শহিদ মণ্ডলের (৭৫) কাছে বিষয়টি জানালে তিনি ২৭ জানুয়ারি মুদ্রাগুলো পাঁচবিবি থানায় জমা দেন।
সাংবাদিকরা বিষয়টি বগুড়ার মহাস্থান প্রতœতাত্তিক জাদুঘরের কাস্টডিয়ান নাহিদ সুলতানাকে জানান। পরে সুলতানা নিজ উদ্যোগে মুদ্রার বেশ কিছু ছবি প্রফেসর ড.একেএম ইয়াকুব আলীর কাছে প্রেরণ করেন। পরে তিনি মুদ্রাগুলো পরীক্ষা করেন।
রুপার তৈরি ২৮টি মুদ্রার ওজন ৩০৩ গ্রাম (২৬ ভরি) উল্লেখ করে পাঁচবিবি থানা পুলিশ এর মূল্য নির্ধারণ করে ৫ হাজার ২০০ টাকা।
মুদ্রাগুলো সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে থানায় জমা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১০