চট্টগ্রাম: আরব সাগরে ছিনতাই হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’তে স্থাপিত স্যাটেলাইট ফোন সিস্টেম সচল হয়েছে। শনিবার রাতে ফোন সিস্টেম সচল হওয়ার পর জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য দফায় দফায় চেষ্টা চলছে।
এ অবস্থায় জিম্মি নাবিকদের জন্য তাদের স্বজনদের উদ্বেগ, উৎকন্ঠা বেড়েই চলেছে।
জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান ব্রেভ রয়্যাল শিপিং ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘স্যাটেলাইট ফোন সিস্টেম সচল হওয়ার পর ঘন্টায় ঘন্টায় যোগাযোগ করছি। কিন্তু সাড়া পাচ্ছি না। ’
ছিনতাই হওয়ার পর জাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়, কারণ স্যাটেলাইট ফোন সক্রিয় না থাকায় অধিকাংশ সময়ই সেটা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ফিরোজ আলম।
সরকারের প থেকে জোরালো কোন উদ্যোগ আছে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকারও সম্ভবত জলদস্যুদের যোগাযোগের অপোয় আছে। ’
তবে নৌবাণিজ্য অধিদপ্তরের একটি সূত্রে জানা গেছে, জিম্মি দেশীয় নাবিকদের উদ্ধারে সরকার এখন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি সংস্থার শরণাপন্ন হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি সংস্থার মালিকানাধীন একটি জাহাজ ছিনতাইয়ের পর সংস্থাটি সেটি উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালায় এবং উদ্ধারে সম হয়।
এছাড়া লন্ডনভিত্তিক ইউকেএমটিও এবং সিঙ্গাপুরভিত্তিক রিক্যাপ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ চলছে বলে রোববার জানিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান।
ব্রেভ রয়্যালের তথ্য সেল থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, জাহাজটি সোমালিয়ার পূর্ব উপকুলে বার্থিং নেওয়া গারাকাড নামক স্থানে স্থির হয়ে আছে। তবে জাহাজটি স্যাটেলাইট ইমেজের দৃষ্টিসীমার মধ্যে আছে।
শুক্রবার রাত ১টা ২৩ মিনিটে জাহাজটি সোমালিয়ায় পৌঁছে। জাহাজটি যে স্থানে নোঙ্গর ফেলেছে সেই গারাকাড অঞ্চলটি ‘সোমালিয়ান জলদস্যুদের মুক্তাঞ্চল’ হিসেবে পরিচিত।
উল্লেখ্য, ২৫ নাবিক ও এক নাবিকের স্ত্রীকে জিম্মি করে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি জাহান মণিকে গত ৫ডিসেম্বর ছিনতাই করে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। জাহাজটি সোমালিয়ান জলদস্যুরাই ছিনতাই করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময় ১২১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১০