ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জাবিতে আটক ১৬ জন দুই দিনের রিমান্ডে, একজন মুক্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০১০
জাবিতে আটক ১৬ জন দুই দিনের রিমান্ডে, একজন মুক্ত

সাভার: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জের ধরে আটককৃত ১৬ ছাত্রকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে তাদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে বিচারিক শাহরিয়ার আরাফাত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।



স্থগিত ঘোষিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম সাফিন গ্রুপের পক্ষে মালেক ও সাধারণ সম্পাদক নির্ঝর আলম সাম্য গ্রুপের পে আতিকুর রহমান নামে দুই ছাত্রলীগ নেতা আশুলিয়া থানায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা দায়ের করেছেন।

পৃথক দু’টি মামলার প্রতিটিতে ৮ জন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আটককৃত অপরজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

মালেকের দায়েরকৃত মামলায় ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছিল। এর মধ্যে আটক করা হয়েছে মো. শামীম, তোফাজ্জল হোসেন ওরফে ইমন, আলমগীর হোসেন, মঞ্জুর আহমেদ রিয়েল, রিয়াজ রহমান, নূরনবী, রাজিব হাসান ও মাসুদুর রহমান।

অপরদিকে আতিকুর রহমানের দায়ের করা মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০/২৫ জনকে আসামিক করা হয়। এদের মধ্যে আটককৃতরা হলেনÑ পরিতোষ চাকমা, হাসান তারিক, শিহাব উদ্দিন, রাইসুল ইসলাম খান ওরফে রাহাত, জুনায়েদ হক পারভেজ, জাহিদ হাসান, আমিনুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।

আটকৃকত একজনকে ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘তাকে আটক করা হয়নি। অন্যদের আটকের জন্য তার সহায়তা নেওয়া হয়েছিল। ’ তবে তার বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।

এর আগে সোমবার রাত পৌনে একটার দিকে তিন শতাধিক পুলিশ একযোগে অভিযান শুরু করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আফম কামাল উদ্দিন, আল বিরুনী ও শহীদ সালাম বরকত হলে। টানা তিন ঘণ্টার এ অভিযানে ওই ১৭ ছাত্রকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে ১৩ জনকে আশুলিয়া থানায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের দায়ের করা দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় বলে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে
জানান আশুলিয়া থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, হলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোমবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের রক্তয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় সহকারী প্রক্টর আসম ফিরোজুল হাসানসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।
এ ঘটনায় ১৭ ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার ও ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপ। এছাড়া ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি ১৩ নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে।

অভিযানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হল প্রভস্টসহ আবাসিক শিকরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শেষে রাত সাড়ে ৪টার দিকে আশুলিয়া থানায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক।

উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘আমি পুলিশকে বলেছি, জড়িত যেই হোক না কেন, ক্যাম্পাসে শিার পরিবেশ নিশ্চিত করার স্বার্থে কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।