ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কক্সবাজার সৈকতে রাস্তা : ১০ সরকারি কর্মকর্তাকে উকিল নোটিশ দিয়েছে ‘বেলা’

আনছার হোসেন, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১০

কক্সবাজার : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে রাস্তা নির্মাণ বন্ধে ১০ সরকারি কর্মকর্তাকে উকিল নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।

সৈকতের ‘প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা’র বালিয়াড়িতে অবৈধভাবে সমুদ্রের তলদেশ থেকে বালি উত্তোলন করে সড়ক নির্মাণ বন্ধে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।



সৈকতের পরিবেশগত ও নৈসর্গিক আবেদন রক্ষা করতে সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে রাস্তা নির্মাণ কাজ বন্ধ করার দাবি জানিয়ে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, কক্সবাজার অঞ্চলের প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ও স্বপ্নীল প্রাইভেট হেরিটেজ বে প্রপার্টিজ লিমিটেডের পরিচালককে এই নোটিশ দেওয়া হয়।

ওই নোটিশে অবিলম্বে সমুদ্রের বালিয়াড়িতে রাস্তা নির্মাণ বন্ধ করে ৭ দিনের মধ্যে ‘বেলা’কে জানানোর জন্য বলা হয়। অন্যথায় বেলা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবে। বৃহস্পতিবার ডাকযোগে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
 
বেলার আইনজীবী তাসলিমা ইসলামের দেওয়া এই ‘নোটিশ অব ডিমান্ড ফর জাস্টিসে’ বলা হয়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, এর নির্মল জলরাশি ও সমৃদ্ধ জীববৈচিত্রকে অবক্ষয় ও অপরিকল্পিত কার্যকলাপ থেকে রক্ষা করতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে সরকার ১৯৯৯ সালে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে।
 
এতে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সৈকতের কলাতলী পয়েন্টের বালিয়াড়িতে সাবমেরিন ক্যাবলের ল্যান্ডিং স্টেশনের কাছে সমুদ্রের তলদেশ থেকে মেশিন দিয়ে বালু তুলে এবং পাহাড় কাটা মাটি দিয়ে রাস্তা তৈরি হচ্ছে। ‘সি ওয়েভ’ নামক একটি হোটেল নির্মাণের উদ্দেশ্যে ইট, বালু, রড, সিমেন্টসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী আনা নেওয়ার জন্য রাস্তাটি তৈরি হচ্ছে।
 
স্থানীয় অধিবাসীদের বরাত দিয়ে নোটিশে বলা হয়, এই রাস্তা নির্মিত হলে সমুদ্র সৈকত একদিকে যেমন দ্বি-খন্ডিত হয়ে পড়বে, তেমনি দেশ-বিদেশ থেকে আগত পর্যটকদের কাছে আকর্ষণও হারাবে।
 
এলাকাবাসীর আশংকা, সমুদ্রের তলদেশ থেকে বালু তোলা হলে ওই এলাকার সৈকতে ভাঙন তরান্বিত হবে। সেখানে বালু তোলা হলে সাবমেরিন ক্যাবল লাইনও হুমকির মুখে পড়বে।
 
নোটিশে প্রচলিত পরিবেশ ও অন্যান্য আইন ভঙ্গ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
 
কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু জানান, আমাদের সংগঠনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা অনেক প্রতিবাদ কর্মসূচি দিয়েও কোনো ফল না হওয়ায় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সহযোগিতা চেয়েছি।
 
তিনি ই-মেইলে ওই উকিল নোটিশটির অবগতি কপি পেয়ে নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আহমদ জানান, তিনি এখনো এ ধরণের কোনো নোটিশ পাননি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময় : ২৩২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।