কক্সবাজার : রোববার রাতে কক্সবাজারের মহেশখালীতে উপজেলা ডাকবাংলোর কাছে লাগা ভয়াবহ আগুন শেষ পর্যন্ত রাত বারটার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার প্রায় আড়াই ঘন্টা পর চকোরিয়া থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম কাউসার হোসাইন জানান, উপজেলা ডাকবাংলোর কাছে গোরকঘাটা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ১৫টির মতো দোকান ও বসতবাড়ি পুড়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে জ্বালানি তেলের দোকান, ফার্মেসি, হার্ডওয়ার, মুদি-মনোহারি, সেলুন, ফার্ণিচার ও চায়ের দোকান রয়েছে।
ইউএনও বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে জ্বলন্ত সিগারেট থেকে রাত ৯টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মহেশখালী বা পেকুয়ায় দমকল বাহিনী না থাকায় দ্রুত আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। ’
চকরিয়া থেকে পেকুয়া হয়ে মহেশখালীর ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনীর গাড়ি পৌঁছায় রাত সাড়ে এগারোটার পরে।
এ ব্যাপারে চকরিয়া ফায়ার ব্রিগেডের কর্মকর্তারা জানান, চকোরিয়া থেকে পেকুয়া উপজেলা পার হয়ে ছোট মহেশখালী ব্রিজের সামনে এসে দেখা যায়, ব্রিজটি ভাঙ্গা। ফলে সেখান থেকে উল্টা পথে ঘুরে দমকলের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে অনেক সময় লেগে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী শাহাব উদ্দিন ও জয়নাল আবেদীন জানান, মুন্নি অয়েল সেন্টার নামের জ্বালানি তেলের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং মূহুর্তেই তা আশপাশের বাড়িঘর ও দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে তেলের ড্রামগুলোর বিস্ফোরণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
দমকল বাহিনীর মতে আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এক কোটি টাকার বেশি।
বাংলাদেশ সময় : ০৮:২০ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১০