ঢাকা: জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমাতে সরকার ও এনজিওগুলেকে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে কাজ করতে হবে বলেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ড. আফম রুহুল হক।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরাটন হোটেলে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ইউএসএইড এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ‘গ্লোবাল হেল্থ ইনিশিয়েটিভ’ (জিএইচআই) কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ড. আফম রুহুল হক ও বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জেমস এফ. মরিয়ার্টি যৌথভাবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এ কর্মসূচির লক্ষ্যগুলো হচ্ছে- প্রসবকালীন মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার কমানো, শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়ন, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা, ম্যালেরিয়া, যক্ষা, এইচআইভি এইডসসহ সকল স্বাস্থ্যসেবায় সরকারকে সহায়তা করা।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ শিশু ও মাতৃ মৃত্যুহার কমানোর কারণে এমডিজি পুরস্কার পেলেও এখনও যে হার আছে তা অনেক বেশি। ’
স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রাথমিক তথ্যগুলো সম্পর্কে স্থানীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণই এ হার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জেমস এফ. মরিয়ার্টি বলেন, ‘২০০৯ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জিএইচআই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ কর্মসূচির আওতায় আটটি দেশকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে যার মধ্যে বাংলাদেশ জিএইচআই-প্লাস দেশ হিসেবে মনোনীত হয়েছে। ’
এ কর্মসূচির মাধ্যমে এসব দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ৬৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বলে জানান তিনি। এ কর্মসূচিটির মেয়াদ ছয় বছর বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সরকারের ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণে ও দরিদ্রমুক্ত মধ্য আয়ের দেশে পৌঁছানোর লক্ষ্য অর্জনে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ূন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব এম মোশাররফ হোসেন ভূঁইঞা, স্বাস্থসেবা ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মিসেস দিলরুবা, ইউএসএইডের জিএইচআই এর মিশন পরিচালক ডেনিস রলিনস, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১০