ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আশুলিয়ায় সাইফুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি অস্ত্রসহ গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩০ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০১০

ঢাকা: আশুলিয়ায় চাঞ্চল্যকর সাইফুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো: ইকবাল ও তার সহযোগী নূর আলমকে গুলিভর্তি অস্ত্রসহ গতকাল রবিবার রাতে উত্তরার এক রেস্তোরাঁ থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব ১-এর কার্যালয়ে সোমবার দুপুর আড়াইটায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।



সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ১১ মে আশুলিয়ার খেজুরবাগান এলাকায় ডিস ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে দিনেদুপুরে গুলি করে হত্যা করে ইকবাল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার সূত্র ধরে র‌্যাব ১-এর একটি দল গত ১৩ মে যশোরের অভয়নগর থেকে এজাহারভুক্ত আসামি কাজলকে আটক করে।

র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মেজর মো: আহসানুর কবিরের নেতৃত্বে র‌্যাব ১-এর একটি দল গতকাল রাত পৌনে ১১টায় উত্তরার চার নম্বর সেক্টরের ১৪/সি নম্বর রোডের ১২ নম্বর বাসায় বিশেষ অভিযান চালায়।

অভিযানে গ্রেফতারকৃত ইকবাল ও তার সহযোগী নূর আলমের কাছ থেকে আট রাউন্ড গুলিসহ একটি অত্যাধুনিক স্প্যানিশ পিস্তল এবং দুই রাউন্ড কার্তুজসহ একটি শাটারগান উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব ১-এর সহকারী পরিচালক ইলতুৎমিশ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, উদ্ধারকৃত স্প্যানিশ পিস্তলটি আমাদের দেশে অত্যন্ত দুর্লভ। ছয় ইঞ্চি মাপের এ পিস্তলটি যে কোন মোবাইল ফোন সেটের চেয়েও ছোট বলে বহন করতে সহজ। পিস্তলটি স্পেনের গোয়ার্নিকা ব্র্যান্ডের বলে জানান তিনি।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশিদুল আলম (র‌্যাব-১) বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, হত্যাকারীরা সাইফুলের মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাকে হাসপাতালে নিতে দেয়নি বলে স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ করা হয়। এমনকি হাসপাতালে নেওয়ার পর ভয়ভীতি দেখিয়ে সাইফুলকে সেবা দেওয়া থেকে চিকিৎসকদের বিরত রাখে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নিহতের মা জয়গুননেসা আর্তনাদ করে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘আমার পুতেরে যারা মারছে, আমি ওগো ফাঁসি চাই। ’

হত্যাকাণ্ডের দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাইফুলের ভাই সোহরাব হোসেন খুনের বর্ণনা দিতে গিয়ে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ইকবাল, আকতার, কোহিনূর ও মোজা আমার সামনেই আমার ছোটভাইকে খুন করে এবং আমাকেও আঘাত করে। প্রথমে ইকবাল ও পরে বাকি তিনজন গুলি করে সাইফুলকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আসামিরা যদি আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পায় তাহলে পুনরায় এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের ইকবাল নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে একবার বলে সে একজন ঝুট ব্যবসায়ী। আবার একটু পরেই জানায়, সে বিভিন্ন গার্মেন্টসে খাবার সরবরাহ করে। অস্ত্রের ব্যাপারে তার কাছে প্রশ্ন করা হলে ইকবাল জানায়, আকতার আমাকে কাছে অস্ত্র দিয়ে ঢাকায় একজনের কাছে পৌছে দিতে বলে। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ১৮০০ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।