ঢাকা: প্রবাসীদের ক্ষেত্রে কমার্শিয়ালি ইমপরট্যান্ট পারসন (সিআইপি) পদমর্যাদা নির্ধারণের প্রক্রিয়া সহজ করছে সরকার। সেন্ট্রাল ব্যাংক (বাংলাদেশ ব্যাংক) অথবা বৈধ যে কোনো মাধ্যমে প্রবাসীরা এক লাখ মার্কিন ডলার দেশে পাঠালেই সিআইপি পদ মর্যাদার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজ সোমবার তার দপ্তরে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, আগের জটিল প্রক্রিয়ার কারণে প্রবাসীদের সিআইপি পদ মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নির্ধারনে প্রায় দুই বছর সময় লেগে যেতো। বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টিলিজেন্স) সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা বাছাই ও তদন্তে সময় বেশি লাগতো।
তিনি বলেন, এখনো তথ্য সংগ্রহ করে বাছাই ও তদন্ত করা হবে। তবে প্রত্রিয়াতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন সর্বোচ্চ ২/৩ মাসের মধ্যেই সিআইপি নির্ধারণের কাজ শেষ হবে। বৈধ পন্থায় এক বছরে এক লাখ মার্কিন ডলার পাঠালেই প্রবাসীরা সিআপির জন্য বিবেচিত হবেন। আর তাঁদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠানো দশজন প্রবাসীকে এক বছরের জন্য সিআইপি পদ মর্যাদা দেওয়া হবে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগে উৎসাহ বাড়াতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এতে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়বে। অর্থনীতির ভিত্তিও মজবুত হবে।
বাংলাদেশ সময় : ১৮৩৮ ঘণ্টা, ৫ জুলাই ২০১০