ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সিএনজি ফিলিং স্টেশন ধর্মঘট ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১০
সিএনজি ফিলিং স্টেশন ধর্মঘট ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত

ঢাকা: বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনর্ভাসন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ২৬ নভেম্বর থেকে ডাকা সারা দেশব্যাপী লাগাতার ধর্মঘট কর্মসূচি ফের ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেছে।

দুপুরে পেট্রোবাংলার সভাকক্ষে অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের চার ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।



বৈঠকে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫ সদস্যের একটি দল উপস্থিত ছিলেন।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা আলোচনা করেছি। তারা তাদের ধর্মঘট স্থগিতের সময়সীমা বাড়িয়েছে। ’

বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনর্ভাসন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন নয়ন বাংলানিউজকে বলেন, ‘পেট্রোবাংলার অনুরোধ ও আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ধর্মঘট স্থগিতের সময়সীমা ২৫ নভেম্বর থেকে বাড়িয়ে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত করেছি। আশা করছি এরই মধ্যে সরকার একটি সন্তোষজনক সমাধান দেবে। ’

বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বাড়াতে সরকার গত ১৬ আগস্ট থেকে দৈনিক বিকেল ৩টা থেকে ৯টা পর্যন্ত  সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এর বিরোধিতা করে গত ২ অক্টোবর অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা জরুরি সাধারণ সভায় সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারসহ সাত দফা দাবিতে ১ নভেম্বর থেকে ধর্মঘটের ডাক দেয়। তারা সরকারকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ অক্টোবর সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা সাত দফা দাবি নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সময় চাইলে ধর্মঘট আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়।

একই সঙ্গে এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না এলে ২৬ নভেম্বর থেকে লাগাতার ধর্মঘটে যাওয়ার আগাম কর্মসূচি দেয় অ্যাসোসিয়েশন।

সিএনজি অ্যাসোসিয়েশনের সাত দফা দাবি হল, ৬ ঘণ্টা বন্ধের ঘোষণা বাতিল, গ্যাসের চাপ সংকট ও পিক আওয়ারে রেশনিংয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণখেলাপি স্টেশনে দীর্ঘ মেয়াদী কিস্তির ব্যবস্থা করা, সব স্টেশনে ইভিসি ( ইলেকট্রিক ভলিউম কারেক্টর) মিটারের রিডিং অনুযায়ী বিল নেওয়া এবং গত মে পর্যন্ত যে অতিরিক্ত বিল নেওয়া হয়েছে তা সমন্বয় করা, এনাজি রেগুলেটরি কমিশনের লাইসেন্স ফি এক লাখ টাকার পরিবর্তে ৫ হাজার এবং নবায়ন ফি এক লাখ টাকার পরিবর্তে এক হাজার টাকা করা, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি প্রদান, রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি (আরপিজিসিএল ) কর্তৃক আদায়কৃত বাৎসরিক ফি প্রত্যাহার ও সিএনজি খাত সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশন এবং কনর্ভাসন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে গ্রহণ করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০২, নভেম্বর ২৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।