ঢাকা: রাজধানী ঢাকার পিলখানাস্থ বিডিআর হাসপাতাল ইউনিটের ২৫৬ জন জওয়ানের মধ্যে মঙ্গলবার ১৩১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাঠ করে শোনানো হয়েছে।
এরপর আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত আদালত মুলতবি ঘোষণা করা হয়।
এ নিয়ে ২ দিনে সর্বমোট ২৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাঠ করে শোনানো হলো। অবশিষ্ট ২৬ জনের অভিযোগ বুধবার পড়ে শোনানো হবে।
মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টায় বিডিআর সদর দপ্তরে স্থাপিত বিশেষ আদালতে বিচার কার্যক্রম শুরু হয় এবং দুপুর পৌনে ২টায় মুলতবি ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় পিলখানার বিডিআর হাসপাতাল ইউনিটের অভিযুক্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে সোমবার অভিযোগ পড়ে শোনানো শুরু হয়। এদিন ৯৯ জনকে অভিযোগ শোনানো হয়।
মঙ্গলবার বিডিআর সদর দপ্তরে দরবার হলে স্থাপিত বিশেষ আদালত ১০-এ বিচারক প্যানেলের নেতৃত্বে ছিলেন কর্নেল ওবায়দুল আহসান। তাকে সহায়তা করেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল নূরুল আলম এবং মেজর এসএম কাওসার। পরিবর্তিত নতুন আদালতে প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেন লে. কর্নেল আব্দুল আলীম।
সোমবার এর আগে আদালতের শুরুতে প্রসিকিউটর লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আবদুল আলীম সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের সচিত্র প্রতিবেদন তুলে ধরেন। এরপর আদালত প্রথমে দলগত অভিযোগ এবং পরে আসামিদের নাম ধরে একে একে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পড়ে শোনান।
সব অভিযুক্তকে অভিযোগ পড়ে শোনানো শেষে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হবে, তারা দোষী, না নির্দোষ। এরপর অভিযোগ গঠন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল হাসপাতাল ইউনিটের বিচার প্রক্রিয়া বিশেষ আদালত-৬ এ শুরু হয়। পরের দিন ২৯ এপ্রিল আদালতের কার্যক্রম চলার পর ২২ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের দিন ঠিক করে শুনানি মুলতবি ঘোষণা করা হয়। প্রসিকিউটর লে. কর্নেল আব্দুল আলীম হাসপাতাল ইউনিটের ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে গত ২৯ এপ্রিল আদালতে অভিযোগ তুলে ধরেন।
অভিযোগসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো - তৎকালীন ডিজির আদেশ অমান্য করা, কর্তৃপরে অনুমতি ছাড়া অস্ত্রভাণ্ডার থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করা, ভয়ভীতি ছাড়াই বিডিআর বিদ্রোহের সময়ের তথ্য গোপন করা, অধিনায়কের অনুমতি ছাড়া ইউনিট ত্যাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১০
