ঢাকা: বহুল আলোচিত সাত যমজ সন্তানের পিতা ও মাতা দাবিদার পুলিশের সাবেক ডিআইজি আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রী আনোয়ারা রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা শিশু পাচার মামলায় বাদীপক্ষের সাক্ষী ওয়ালিউল ইসলামের দ্বিতীয় দফার জেরা মঙ্গলবার দুপুরে শেষ হয়েছে।
এসময় আসামি আনোয়ারা রহমান আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার সাক্ষী ওয়ালিউল ইসলামকে জেরা করেন ডিআইজির আইনজীবী সাজেয়ার রহমান। জেরা শেষে তিনি মামলার বাদীকে দ্বিতীয় দফায় জেরা করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেন।
তবে বাদীপক্ষের আইনজীবী মাহমুদা আক্তার বাদীকে দ্বিতীয় দফায় জেরা করার আবেদনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় দফায় জেরা করতে হলে কোন কোন বিষয়ের ওপর জেরা করা হবে তার একটি ফিরিস্তি আদালতে দাখিল করতে হবে।
বাদী পক্ষে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইট্স ফাউন্ডেশন মামলাটি পরিচালনা করছে।
বাংলাদেশ হিউম্যান রাইট্স ফাউন্ডেশনের লিগ্যাল রিটেইনার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহমুদা খাতুন বাংলানিউজকে জানান, আসামিপক্ষ প্রথম থেকেই মামলার বিচার বিলম্বিত করার চেষ্টা করে আসছে। বাদীকে দ্বিতীয় দফায় জেরা করার আবেদন সেই চেষ্টারই অংশ।
ঢাকার চতুর্থ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম শামসুল ইসলাম সাক্ষীর জেরা রেকর্ড করে বাদীকে জেরা করার জন্য আসামি পক্ষের দাখিল করা দরখাস্ত শুনানির জন্য আগামি ১৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
সাবেক ডিআইজি আনিসের স্ত্রী আনোয়ারা রহমান গত ১৯ অক্টোবর আদালতে আত্মসর্মপন করে জামিন নেন।
মামলার এজাহারে জানা যায়, অভিযুক্ত মোট ১৪ সন্তানের পিতা-মাতা বলে দাবি করেন। তাদের দাবি করা সন্তানদের মধ্যে ৭জন কম বয়সের শিশু। এ ৭জনকেই তারা একই সঙ্গে জন্ম নেওয়া জমজ বলে দাবি করেন যা প্রতিবেশীসহ অন্যদের মনে সন্দেহের উদ্রেক করে। ২০০৬ সালের ২ জুন বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত এ সংক্রান্ত খবর পেয়ে সাংবাদিকরা তাদের বাসায় গেলে অভিযুক্তরা এ বিষয়ে সঠিক তথ্য জানাতে ব্যর্থ হন। এছাড়া তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য দেওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়।
এ ঘটনায় ২০০৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি আদালত অ্যাডভোকেট এলিনা খানের দায়ের করা মামলাটি বিচারের জন্য গ্রহন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১০