ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জয়পুরহাটে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৭১ ভুয়া পরীক্ষার্থী

মাজেদ রহমান, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১০
জয়পুরহাটে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৭১ ভুয়া পরীক্ষার্থী

জয়পুরহাট: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রথম দিনে জয়পুরহাট শহরের সরকারি আরবি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ৭১ ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।

আটক পরীক্ষার্থীরা সরকারি অর্থায়নে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) পরিচালিত সমন্বিত শিক্ষা প্রকল্প ‘আনন্দ স্কুল’-এর শিক্ষার্থী হিসেবে সমাপনী পরীক্ষা দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করে।



এসব পরীক্ষার্থী জেলার অন্যান্য উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণীতে পড়ালেখা করলেও এনজিওগুলো তাদের নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করে বলে জানিয়েছে আটক শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, ভুয়া পরীক্ষার্থীদের আটক করে তাদের একঘরে আটকে রাখা হলে তারা কান্নায় ভেঙে পড়ে। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক অশোক কুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে আটক পরীক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি।

কেন্দ্রের পরামর্শক্রমে পরীক্ষার্থী ছেড়ে দেওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে ৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন করা হয়। আদালতে নেতৃত্ব দেন ম্যাজিস্ট্রেট সোনিয়া পারভীন, রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, নজরুল ইসলাম, নূরে মাহবুবা জয়া ও ঝুমুর বালা।

ম্যাজিস্ট্রেট নূরে মাহবুবা জয়া (সহকারী ভূমি কমিশনার) ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক ও তাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠনের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘আটক ভুয়া পরীক্ষার্থীদের জবানবন্দি নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ’

ছাড়া পাওয়া পর জয়পুর মাস্টার পাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী সেতু বাংলানিউজকে জানায়, হোসনের আরা নামের রূপনগর আনন্দ স্কুলের এক শিক্ষক তাকে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।

আলহেরা স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী তিশা জানায়, সে পশ্চিম দেবীপুর আনন্দ স্কুল থেকে এখানে পরীক্ষা দিতে এসেছে এবং বিউটি নামে এক শিক্ষক তাকে এখানে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য নিয়ে এসেছেন।

উল্লেখ্য, জয়পুরহাটে ১৩টি এনজিও ২৭৭টি আনন্দ স্কুল পরিচালনা করছে। এসব এনজিওর তত্ত্বাবধানে আনন্দ স্কুলের ৩৩৫৯ জন শিক্ষার্থী প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করে। এনজিওগুলোর মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে সেগুলো হচ্ছে পৌষ, এনআরডিএস, আউস, এমকেডিবিএস, সানোয়ারা ফাউন্ডেশন, এসডিএস, মৌতরাজ গ্রাম উন্নয়ন প্রচেষ্টা, আইএসডিও, এসডিও, পল্লী উন্নয়ন সংস্থা, গ্রামীণ আলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।