ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি: আদালত অবমাননা মামলা, শুনানি ২৯ নভেম্বর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১০
খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি: আদালত অবমাননা মামলা, শুনানি ২৯ নভেম্বর

ঢাকা: বিচারাধীন মামলা থাকার পরও খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ কেন অবৈধ নয় মর্মে  দায়ের করা আদালত অবমাননা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এর আগে বাড়িটি খালেদা জিয়াকে ফেরত দেওয়া এবং কোনধরনের অবকাঠামোগত পরিবর্তন না করতে স্থিতাবস্থার আদেশ চেয়ে একটি আবেদন করা হয়।

মঙ্গলবার সকালে চেম্বার জজ এস কে সিনহার আদালতে এ আবেদন ও মামলা দায়ের করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। এসময় বিচারপতি টি এইচ খান, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদলসহ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন ।

আপিল বিভাগের দিনের কার্যসূচির ৩২ নম্বরে এ আবেদনটি থাকলেও পরে চেম্বার জজ এগুলো সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত এ বেঞ্চে আগামী ২৯ নভেম্বর এগুলোর  শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে বাড়ি ছাড়ার নির্দেশের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার দায়ের করা লিভ টু আপিল প্রধান বিচারপতি ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেছিলেন। কিন্তু এর আগেই গত ১৩ নভেম্বর তাকে বাড়ি ছড়তে হয়।

মামলায় আটজনকে বিবাদী করা হয়েছে। তারা হলেন- মন্ত্রিপরিষদসচিব মো. আবদুল আজিজ, প্রতিরক্ষাসচিবে খন্দকার আসাদুজ্জামান, স্বরাষ্ট্রসচিব আবদুস সোবহান সিকদার, সামরিক ভূ-সম্পত্তি অধিদপ্তরের পরিচালক মুর্তজা আহমেদ ও উপ-পরিচালক শফিকুল আহমেদ, সামরিক ভূমি কর্মকর্তা এস এম এমদাদুল হক, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তানভীর হাসান মজুমদার এবং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক শাহীনুর ইসলাম।

এছাড়া মইনুল রোডের ৬ নম্বর বাড়িটি কেন ফেরত দেওয়া হবে না এবং বাড়িটির বর্তমান অবকাঠামো কোনরকম পরিবর্তন না করতে স্থিতাবস্থার আদেশ চেয়ে আরেকটি আবেদন করা হয়। এতে বিবাদী করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদসচিব, প্রতিরক্ষাসচিব, সামরিক ভূ-সম্পত্তি অধিদপ্তরের পরিচালক, সামরিক ভূমি কর্মকর্তা এবং সামরিক ভূমি প্রশাসককে।

আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম বদরুদ্দোজা বলেন, আগে নিষেধাজ্ঞা চাই। এর পর আপিল বিভাগে আদালত অবমাননা মামলার শুনানি।

এদিকে, চেম্বার বিচারপতি শুনানির তারিখ এবং পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়ার আদেশ ঘোষণার পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

সেখানে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‌যেহেতু বেআইনিভাবে দখল করা হয়েছে তাই তাকে (খালেদা জিয়া) বাড়িটি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা এ আবেদন করেছি। জমি বা বাড়ির অবস্থান বা অবকাঠামো যে অবস্থায় রয়েছে লিভ টু আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত একই অবস্থায় থাকবে। এ পিটিশনের শুনানিও আগামী ২৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনে রয়েছে, কোনও আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকলে সরকার এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। তাই এ উচ্ছেদ আইনসম্মতভাবে করা হয়নি। সরকারের কর্মকর্তারা জানতেন আগামী ২৯ নভেম্বরর হাইকোর্টের রায় স্থগিত করা হবে। এরপরও তারা সেখানে হস্তক্ষেপ করেছে। এ হস্তক্ষেপের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের অবমাননা হয়েছে।

এসময় অন্যদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম বদরুদ্দোজা, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট মির্জা আল মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, ২৩ নভেম্বর, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।