ঢাকা: আগামী ৩০ নভেম্বর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। এছাড়াও পাঁচ দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচিও নিয়েছে দলটি।
গ্যাস-বিদ্যুৎ সঙ্কট, দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, দেশ বিরোধী চুক্তি, আইন শৃংখলার অবনতি, বিডিআর বিদ্রোহের বিচার না হওয়া ও খালেদা জিয়াকে মইনুল রোডের বাড়িছাড়া করে আইএসপিআরকে দিয়ে অপপ্রচার করানোসহ বিভিন্ন ইস্যুতে এ হরতাল ডেকেছে বিএনপি।
দলের স্থায়ী কমিটির মুলতবি বৈঠকে সোমবার রাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকের মাঝেই দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বিবৃতিতে এসব কর্মসূচির কথা জানান।
তিনি বলেন, জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষেই এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৯ নভেম্বর সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল, ২৮ নভেম্বর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ ও মিছিল, ২৫, ২৬ ও ২৭ নভেম্বর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সমাবেশ ও মিছিল।
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির মুলতবি বৈঠক শুরু হয় রাত ৮টায়।
খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন দলের মহাসচিব অ্যাডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ড. আরএ গণি, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, এম শামসুল ইসলাম, আসম হান্নান শাহ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, সারোয়ারি রহমান ও ।
কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে মহাসচিব বলেন, ‘গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি সংকট, দ্রব্যমূল্যে’র ঊর্ধ্বগতি, আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি, সর্বক্ষেত্রে দলীয় লোক নিয়োগ, সুশাসন থেকে জনগণ বঞ্চিত করা, দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি, বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করে একদলীয় শাসন কায়েম, খুন-গুম-হত্যা ও ধর্ষণ বৃদ্ধি, ছাত্রলীগ-যুবলীগের টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজি, প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে বোমা ফাটিয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপানো, অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধি, বিদেশি প্রভুদের স্বার্থে সরকারের মদদে গার্মেন্ট শিল্প ধ্বংস, সরকারের অদক্ষতার কারণে বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সংকুচিত হওয়া, সরকার দলীয় ক্যাডাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের প্রতিবাদে ৩০ তারিখের এ হরতাল ডাকা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘একই দাবিতে গত ২৭ জুন আমরা হরতাল ডেকেছিলাম। কিন্তু সরকার আমাদের সেই দাবির একটিও পূরণ করেনি। ’
বাংলাদেশ সময় ২১৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১০