হবিগঞ্জ: জেলার মোট ১৫৫টি হাই স্কুলের মধ্যে স্থায়ী প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে সরকারি তিনটিসহ মোট ৩১টি হাই স্কুল।
প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির (এসএমসি) খামখেয়ালিপনা, মামলা-মোকদ্দমা, সর্বোপরি প্রধান শিক নিয়োগে সরকারি বিধির কঠোরতার কারণে শূন্যপদ পূরণে দীর্ঘসূত্রতা দেখা দিয়েছে।
এসব স্কুলে কখনো সহ-প্রধান শিক্ষক, আবার কখনো সিনিয়র সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব সহকারী শিক্ষক পালন করায় স্কুলের প্রশাসনিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি শ্রেণী-পাঠদানে সময় দিতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরাও।
স্থানী প্রধান শিক্ষকবিহীন হাইস্কুলগুলো হচ্ছে হবিগঞ্জ বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শায়েস্তাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, পইল উচ্চ বিদ্যালয়, আইডিয়েল হাইস্কুল, বামই উচ্চ বিদ্যালয়, লাখাই এসিআরসি উচ্চ বিদ্যালয়, নবীগঞ্জ জেকে উচ্চ বিদ্যালয়, ধন মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, জলসুখা কেজিপি উচ্চ বিদ্যালয়, আব্দুল হেকিম উচ্চ বিদ্যালয়, বানিয়াচঙ্গ এলআর উচ্চ বিদ্যালয়, নাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয়, জনতা উচ্চ বিদ্যালয়, হানিফ খান উচ্চ বিদ্যালয়, হিয়ালা উচ্চ বিদ্যালয়, মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়, প্রেমদাময়ী উচ্চ বিদ্যালয়, বানেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়, গোবিন্দপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, আউলিয়াবাদ উচ্চ বিদ্যালয়, ছাতিয়াইন বিশ্বনাথ উচ্চ বিদ্যালয়, রাজারবাজার উচ্চ বিদ্যালয়, চুনারুঘাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, সাটিয়াজুরী উচ্চ বিদ্যালয়, মাসুদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়, মিরাশী উচ্চ বিদ্যালয় ও দক্ষিণাচরণ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, একজন শিক্ষক ১২ বছর সহকারী ও ৩ বছর সহ-প্রধান শিকের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতায় কেবল একটি তৃতীয় শ্রেণী থাকলে তিনি প্রধান শিক্ষক পদের প্রার্থী হওয়ার যোগ্য হবেন বলে সরকারি নিয়ম ছিল। এ শর্তের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই এ পদে প্রার্থী পাওয়া যেতো না। গত ১২ ফেব্রুয়ারি একাধিক পরীক্ষায় ৩য় বিভাগে পাস করেও প্রধান শিক হওয়ার যোগ্য হবেন বলে সরকারি আদেশ জারি করা হয়।
প্রধান শিক্ষক না-থাকা বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে স্থায়ী প্রধান শিকবিহীন স্কুলগুলোতে অবিলম্বে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছি। কয়েকটি স্কুল এরই মধ্যে নিয়োগও দিয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১০