চট্টগ্রাম: ‘সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম। একটানা পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে দুপুর তিনটার মধ্যেই নগরীর অলিগলি, ঘুপচি পথে পড়ে থাকা পশুর বর্জ্য অপসারণ করে মূল সড়কে নিয়ে স্তুপ করে রাখা হয়।
বুধবার দিনভর এভাবেই সিটি মেয়র এম মনজুর আলমের তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম নগরীতে চলছে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম। দুপুর দু’টা থেকে মেয়র নিজেই নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
তবে বিকেলে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাকলিয়া, রহমতগঞ্জ, লাভ লেইন, দিদার মার্কেট, উত্তর আগ্রাবাদ, মোগলটুলী সহ বেশকিছু এলাকায় বর্জ্যরে অবশিষ্টাংশ, রক্ত, ছেঁড়া চামড়া পড়ে আছে। কোথাও কোথাও এসব বর্জ্যরে অবশিষ্টাংশ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানোরও অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর এমএ মালেক বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘কিছু কিছু এলাকায় বর্জ্য ও অবশিষ্টাংশ পড়ে থাকার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও গাড়ী পাঠানো হয়েছে। যেখানে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে সেখানে আবারও পানি দিয়ে ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ’
‘রাতের মধ্যেই চট্টগ্রাম ঝকঝকে তকতকে সুন্দর নগরীতে পরিণত হবে’ - বললেন কাউন্সিলর মালেক।
কাউন্সিরর এমএ মালেক জানান, সিটি কর্পোরেশনের দেড় হাজার কর্মী দিনভর বর্জ্য অপসারণের কাজ করেছে। এছাড়া কর্পোরেশনের নিজস্ব একশ’ ট্রাক ও পে-লোডার এবং ভাড়া করা অতিরিক্ত ৫০ ট্রাক বর্জ্য অপসারণের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের জন্য বিশেষ কর্মসূচির আওতায় নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডকে উত্তর ও দক্ষিণ দুটি জোনে ভাগ করে সিটি কর্পোরেশন।
এর মধ্যে কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ মনজুকে উত্তর জোন ওকাউন্সিলর একেএম জাফরুল ইসলামকে দক্ষিণ জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আবার প্রতি তিন ওয়ার্ডকে একেকটি জোনে ভাগ করে আলাদা করে একেকজন সুপারভাইজারকে বর্জ্য অপসারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর এমএ মালেককে সমন্বয়ক করে বর্জ্য অপসারণ কাজের সার্বণিক তদারকির জন্য গঠন করা হয় ২০টি স্ট্যান্ডিং কমিটি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১০