ঢাকা: ঈদের দিনও নাড়ীর টানে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। কর্মস্থল থেকে আগেভাগে ছুটি বা যানবাহনের টিকেট না পাওয়া চাকুরিজীবী আর শ্রমজীবীরা ঈদের নামাজ পড়েই রওয়ানা হয়েছেন যার যার গন্তব্যে।
রাজধানীর বাস কাউন্টারগুলোতে তাই ঈদের সকালেও বেশ ভিড় দেখা গেলো।
রাজধানীর কল্যাণপুরে কথা হয় হানিফ এন্টারপ্রাইজের যাত্রী মো. টিটু মিয়ার সঙ্গে। তিনি যাচ্ছেন রংপুরে। কাজ করেন রাজধানীর একটি শপিং মলে।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘আমার দোকান বন্ধ হয়েছে গতরাত (মঙ্গলবার) বারোটায়। তাই আজ বাড়ি যাচ্ছি। পরিবারের লোকজন ছাড়া কিভাবে ঈদ করব?’
টিটু মিয়া বলেন, ‘বাড়িতে মা-বাবা, ভাই-বোন সবাই আছে। তারা সবাই আমার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে। ভালো লাগত যদি গতকাল (মঙ্গলবার) বাড়ি ফিরতে পারতাম। বাড়ির জন্য মনটা খারাপ। ’
আরেক যাত্রী মো. জসিমউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি একটি ওয়ার্কশপে কাজ করি। ওয়ার্কশপ বন্ধ হয়েছে একদিন আগেই। যে কয় টাকা পেয়েছি তা দিয়ে ন্যায্য ভাড়ায় যাওয়া আসাই কষ্টকর হয়ে যাবে। তার ওপর বাসগুলো নিচ্ছিল অতিরিক্ত ভাড়া। তাই কাল বাসায় ফিরে যাই। কিন্তু সবার জন্য মন খারাপ লাগছে। তাই আজ আবার এলাম। ’
অনেকে আবার ঈদের সময় বাড়ি ফিরতে গিয়ে রাস্তায় নানা রকম ভোগান্তি ও যানযট এড়াতে মঙ্গলবার পর্যন্ত বাড়িমুখো হননি। আজ ঈদের নামায পড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে রওনা হচ্ছেন। এমনই একজন মো. শামছুর রহমান সপরিবারে বাড়ি ফিরছিলেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঈদের আগে রাস্তার যে অবস্থা হয় তাতে পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফেরা দিন দিন অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তাই ঈদের আগে যাইনি। টিকেটই কেটে রেখে ছিলাম আজকের। ’
হানিফ ও শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টাররা বলেন, ঈদের দিনেও যাত্রীদের বেশ ভিড়। যারা আগে যেতে পারেননি বা যাননি তাদের অনেকে আজ বাড়ি ফিরছেন।
তবে চালকদের অনেকেই ঈদের ছুটিতে থাকায় বাসগুলো ঠিক সময়ে ছাড়ছে না বলে অভিযোগ যাত্রীদের। এ অভিযোগ স্বীকার করলেন কাউন্টার মাস্টাররাও।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১০