ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কাঠ-চাটাইয়ের বাজার গরম

তুহিন শুভ্র অধিকারী ও মুরসালিন হক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১০
কাঠ-চাটাইয়ের বাজার গরম

ঢাকা: রাত পোহালেই ঈদ। তাই অধিকাংশেরই কোরবানির জন্য পছন্দের পশু কেনা শেষ।

এখন চলছে জবাই-প্রস্তুতি। তাই জমে উঠেছে মাংস কাটার কাঠ, চাটাইসহ কোরবানির আনুষঙ্গিক উপকরণের বাজার। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, দাম বেশি সব উপকরণের।

রাজাধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মানুষের ভিড় যেখানে বেশি, চাটাই বিক্রি হচ্ছে সেখানে। কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, বড় আকারের এক-একটি চাটাই বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৪০ টাকায়। আর মাঝারি আকারের চাটাই বিক্রি হচেছ ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।

এখানে রফিকুল ইসলাম নামে এক বিক্রেতা জানালেন গতকাল কম বিক্রি হলেও আজকের ব্যবসা বেশ ভালো। সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৩৫০টির মতো চাটাই বিক্রি করেছেন তিনি।

এদিকে শাহ সেকেন্দার রনি নামে এক ক্রেতা ১৩০ টাকা দিয়ে কিনেছেন একটি চাটাই। তার প্রশ্ন- চাটাইয়ের দাম এতো হয় কিভাবে?

সেকেন্দারের পাশের থেকে ফোড়ন কাটেন একজন, ‘লিখে লাভ নেই। দেখা যাবে দাম আরও বেড়ে গেছে। ’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কোরবানির ঈদে এই একই সাইজের চাটাই বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।

এবার দাম  এতো বেশি কেন জিজ্ঞাসা করলে বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বেশি দামে কিনে এনেছি তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে আমাদে কিছু করার নেই।

এরপরই যে জায়গায় ভিড় সবচে’ বেশি তা হলো মাংস কাটার কাঠের টুকরা। তেতুল কাঠের এক একটি খাটিয়া আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত।

বিক্রি কেমন জিজ্ঞাসা করলে বিক্রেতা নুর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ১০০ পিচ। দাম ১৮০ থেকে ৩০০ টাকা।

দাম শুনে সেখানেই ক্ষেপে যান ক্রেতা । আগারগাঁও থেকে আগত আবদুল হান্নান নামের এ ক্রেতার বক্তব্য গতবার তিনি কাঠের টুকরো ৮০-৯০ টাকায়। এবার তিনি ১৮০ টাকার নিচে তা পাচ্ছেন না।

ভিড় আছে জবাইয়ের যন্ত্রপাতি যেমন চাপাতি, জবাইয়ের ছুরি, চামড়া ছাড়ানো ছুরি প্রভৃতি যেখানে বিক্রি হয় সেখানে। তবে আজকে গতকালের চেয়ে বিক্রি কম বলে জানালেন ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ী বনে যাওয়া মাসুম খান। গতকাল ৫০০০ টাকার উপরে বিক্রি করলেও আজকে বিক্রি করেছেন ২৫০০ টাকা।

তিনি জানালেন, প্রতিটি চাপাতি বিক্রি হচেছ আকারভেদে ১৫০-৩০০ টাকা, জবাইয়ের ছুরি ৩০০-৩৫০ টাকা, চামড়া ছাড়ানো ছুরি ২০-৩০ টাকা এবং দা ১০০-৩৫০ টাকা।

ভীর লক্ষ্য করা গেছে এসব যন্ত্রপাতি ধার (শান) দেওয়ার দোকানেও।

গতকালের চেয়ে বিক্রি কম হলেও ঘাস, খড়, ভুষির দোকানেও লোক যাচ্ছে। তবে ছাগলের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত কাঠাল পাতার বিক্রি বেশ ভালো বলে জানালেন বিক্রেতা রিপন হোসেন। বিক্রি করেছেন ৫০০ আটি।

তিনি জানালেন, সাধারণ ছাগল মানুষ ঈদের আগে দিন কেনে। ছাগলের দাম এবার কমে যাওয়ায় কাঠাল পাতার বিক্রি বেশি।

ফেরার সময় কথা হয় জালাল উদ্দিন নামের এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঈদে জবাই দেওয়ার জন্য এসব জিনিস কিনতে হচ্ছে। কিন্তু এখানে এসে দেখছি বিক্রেতারা কসাইয়ের মতো দাম রাখছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ